লাগামহীন করপোরাল পানিশমেন্ট

শিক্ষকদিবসের দিনেই এক নামী স্কুলে ভাইস প্রিন্সিপালের হাতে প্রহৃত হতে হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে। সাম্প্রতিক অতীতে এজাতীয় ঘটনার উদাহরণ আরও রয়েছে। আইন করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না করপোরাল পানিশমেন্ট। জাতীয় শিশুঅধিকার সুরক্ষা কমিশনে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যাও সেকথাই বলছে।  

Updated By: Sep 7, 2012, 09:40 AM IST

শিক্ষকদিবসের দিনেই এক নামী স্কুলে ভাইস প্রিন্সিপালের হাতে প্রহৃত হতে হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে। সাম্প্রতিক অতীতে এজাতীয় ঘটনার উদাহরণ আরও রয়েছে। আইন করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না করপোরাল পানিশমেন্ট। জাতীয় শিশুঅধিকার সুরক্ষা কমিশনে জমা পড়া অভিযোগের সংখ্যাও সেকথাই বলছে। স্কুলে বা ক্লাসে পড়ুয়াকে শারীরিক আঘাত। কখনওবা মানসিক অত্যাচার। আইনি ভাষায় `করপোরাল পানিশমেন্ট`। আইন করে নিষিদ্ধ করা হলেও মধ্যযুগীয় এই প্রবণতা থেকে কিছুতেই মুক্ত করা যাচ্ছে না দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে।
 
জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কাছে ২০০৭ থেকে মোট ৫৭৭টি করপোরাল পানিশমেন্টের অভিযোগ জমা পড়েছে। ওই তালিকার শীর্ষে থাকা তামিলনাড়ু থেকেই এসেছে ১১৫টি অভিযোগ। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। অভিযোগের সংখ্যা ১০৫। আর ৯৯টি অভিযোগ আসায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর প্রদেশ।
 
অন্যান্য রাজ্যে মতোই পশ্চিমবঙ্গও এর ব্যতিক্রম নয়। করপোরাল পানিশমেন্টের সাম্প্রতিকতম উদাহরণ শিক্ষকদিবসের দিন এক নামী স্কুলে ভাইস প্রিন্সিপালের হাতে পড়ুয়ার প্রহৃত হওয়ার ঘটনা। কিছুদিন আগেও বিশ্বভারতীর পাঠভবনের হস্টেলে ওয়ার্ডেনের হাতে এক স্কুল ছাত্রীকে নিগৃহীত হতে হয়েছিল। লা-মার্টিনিয়ারের ছাত্র রুভনজিতের ঘটনাও প্রচার মাধ্যমে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল। প্রতিটি ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে স্কুল শিক্ষায় করপোরাল পানিশমেন্টের উপস্থিতি।
করপোরাল পানিশমেন্ট বন্ধ করতে এবছর মার্চ মাসে  নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। পড়ুকে নিগ্রহের অভিযোগ এলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে আলাদা করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
 

.