অমানবিক হাসপাতাল, মাত্র ২০০ টাকার অভাবে মৃত্যু সদ্যজাতর
চরম অমানবিকতার শিকার হলেন জলন্ধরের কুমার দম্পতি। অভিযোগের তির জলন্ধরের এক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। দম্পতির অভিযোগ, টাকা না দিতে পারার কারণে মেরে ফেলা হয়েছে তাঁদের ৫ দিনের সদ্যজাত কণ্যাসন্তানকে।
চরম অমানবিকতার শিকার জলন্ধরের হলেন কুমার দম্পতি। অভিযোগের তির জলন্ধরের এক সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। দম্পতির অভিযোগ, টাকা না দিতে পারার কারণে মেরে ফেলা হয়েছে তাঁদের ৫ দিনের সদ্যজাত কণ্যাসন্তানকে।
মাসের ২০ তারিখ জলন্ধরের এক সরকারি হাসপাতালে অপরিণত অবস্থায় কণ্যাসন্তান জন্ম দেন অভিযোগকারী সঞ্জীব কুমারের স্ত্রী। অপরিনত অবস্থায় জন্ম হওয়ার দরণ সদ্যজাতককে ইনকিউবেটরে রাখা হয় হাসপাতালে। ইনকিউবেটর খরচা বাবদ সঞ্জীব কুমারের কাছে ২০০ টাকা দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পেশায় রং-মিস্ত্রি সঞ্জীব কুমার অপারগ ছিলেন ওই টাকা যোগার করতে। বহু চেষ্টার পরও ধার দেনা করেও টাকা জোগার করতে পারেননি সঞ্জীব কুমার।
সময়মতো টাকা জমা না পড়ায় কোনও রকম সমবেদনা দেখায়নি হাসপাতাল কত্তৃপক্ষ। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে বার করে আনা হয় ইনকিউবেটর থেকে। সঞ্জীববাবুর অভিযোগ তিনি অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও কর্ণপাত করেনি হাসপাতাল কত্তৃপক্ষ। শিশুটিকে গ্লুকোজ দেওয়াও বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল। অবধারিত ভাবেই মৃত্যু হয় সদ্যজাতর। হাসপাতালের বিরুদ্ধে তাঁর সন্তানকে মেরে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন শিশুটির মা সুনীতা দেবী। হাসপাতালের সিএমওএইচ ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ঘটনার পুর্ণতদন্ত করা হবে। মৃত শিশুটির পরিবারকে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করতেও বলেছেন তিনি। রাজ্য সরকারও এই ঘটনার তদন্ত করছে।
তবে গত বুধবারের ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে আরও একবার গরীব মানুষদের অসহায়তাকেই প্রকাশ করল। যেখানে একটি শিশুর জীবনের মূল্য ২০০ টাকা।