ভাঙনের দিকে আরও এক ধাপ এগোল এনডিএ
দফায় দফায় আলোচনাতেও নরম হল না সংঘাতের সুর। ভাঙনের দিকেই এগোচ্ছে এনডিএ। নরেন্দ্র মোদি প্রশ্নে আপোস করতে নারাজ বিজেপি। অন্যদিকে, ফেডেরাল ফ্রন্টের ভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে ভাঙনের সম্ভাবনাকেই জোরালো করেছেন নীতীশ কুমার।
দফায় দফায় আলোচনাতেও নরম হল না সংঘাতের সুর। ভাঙনের দিকেই এগোচ্ছে এনডিএ। নরেন্দ্র মোদি প্রশ্নে আপোস করতে নারাজ বিজেপি। অন্যদিকে, ফেডেরাল ফ্রন্টের ভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে ভাঙনের সম্ভাবনাকেই জোরালো করেছেন নীতীশ কুমার।
নরেন্দ্র মোদীকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জোরালো হয়েছে এনডিএ-তে ভাঙনের সম্ভাবনা। পনেরোই জুনের পর বিহারে সব সরকারি কর্মসূচি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। অন্যদিকে, উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি সমেত বিহারে বিজেপির এগারোজন মন্ত্রীও দফতরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সেবাযাত্রায় বেরোনোর আগে নীতীশ কুমারের মুখে শোনা গিয়েছে ফেডেরাল ফ্রন্টের কথা।
যদিও জেডিইউয়ের কোনও শীর্ষনেতার মুখেই এখনও এনডিএ ছাড়ার কথা শোনা যায়নি। জোটরক্ষার চেষ্টায় বৃহস্পতিবার শরদ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির নীতিন গড়করি ও মুখতার আব্বাস নাকভি।
শরদ যাদবের সঙ্গে দেখা করলেও নরেন্দ্র মোদী প্রশ্নে তাঁকে কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি বিজেপি নেতারা। বরং দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিংয়ের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীকে প্রচার কমিটির প্রধানের পদ থেকে সরানো সম্ভব নয়। এমনকি নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলেও, সেই প্রস্তাব আগে বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে পেশ করার পর এনডিএ-র সাধারণ বৈঠকে তোলা হবে বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। জেডিইউয়ের সঙ্গে জোট ভাঙার সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন বিহার বিজেপির নেতারাও।
বিজেপির দাবি, নরেন্দ্র মোদীকে উত্থান তাদের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত। জেডিইউয়ের পাল্টা দাবি, লোকসভা ভোটে যদি নরেন্দ্র মোদী বিজেপির প্রচারের মুখ হন তাহলে তার প্রভাব তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই হবে। তাই নরেন্দ্র মোদীর উত্থানকে নজরে রেখেই জেডিইউ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা।