মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক অচলাবস্থা, রাষ্ট্রপতি শাসনের সম্ভাবনা
মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের প্রভাব পড়েছে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। বিজেপি-শিবসেনা এবং কংগ্রেস-এনসিপি জোট ভেঙে যাওয়ায় সঙ্কটে এনডিএ এবং ইউপিএ। চার দলই ব্যস্ত নতুন সঙ্গীর খোঁজে। এদিনই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ফোনে কথা বলেন এমএনএস নেতা রাজ ঠাকরের সঙ্গে। সমাজবাদী পার্টিকে পাশে পেতে মরিয়া কংগ্রেস। এই অবস্থায় এবার মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে সম্ভবত দেখা যাবে চার কিংবা পাঁচ দলের লড়াই।

মুম্বই: মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের প্রভাব পড়েছে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। বিজেপি-শিবসেনা এবং কংগ্রেস-এনসিপি জোট ভেঙে যাওয়ায় সঙ্কটে এনডিএ এবং ইউপিএ। চার দলই ব্যস্ত নতুন সঙ্গীর খোঁজে। এদিনই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ফোনে কথা বলেন এমএনএস নেতা রাজ ঠাকরের সঙ্গে। সমাজবাদী পার্টিকে পাশে পেতে মরিয়া কংগ্রেস। এই অবস্থায় এবার মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে সম্ভবত দেখা যাবে চার কিংবা পাঁচ দলের লড়াই।
শেষরক্ষা হয়নি। আসন বণ্টন সব বিভিন্ন ইস্যুতে মতপার্থক্যের জেরে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই মহারাষ্ট্রে ভেঙে গেছে শিবসেনা-বিজেপি জোট। ঘটনাটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন বিজেপি সাংসদ রাজীব প্রতাপ রুডি।
মতবিরোধের জেরে কংগ্রেসের জোট ভেঙে গেছে এনসিপির। ফলে শুক্রবার মহারাষ্ট্রে জোট সরকার থেকে সমর্থন তোলার কথা চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে জানায় শরদ পাওয়ারের দল। তারপরই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তোলে বিজেপি।
এমলিপি সমর্থন তুলে নেওয়ায় শুক্রবারই রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান। তবে এখনই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে নাকি ভোট পর্যন্তত তাঁকেই তদারকি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেবেন রাজ্যপাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জোট ভেঙে যাওয়ায় চার দলই এখন একলা চলোরে নীতি নিয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, ভোট পরবর্তী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, রাজ্যের বেশকয়েকটি ছোট দলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। দুশো অষ্টোআশি আসনের মধ্যে তারা আড়াইশোটি আসনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকিগুলি তারা রেখেছে অন্যান্য দলের জন্য। তবে সেই দলগুলি কারা, সেবিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
জোট ভেঙে যাওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে এবার সম্মুখ সমরে পঁচিশ বছরের শরিক শিবসেনা। প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করতেও পিছপা নয় শিবসেনা নেতৃত্ব। এদিকে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করার পর শুক্রবার মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরেকে ফোন করেন উদ্ধব ঠাকরে। শেষবার তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল বাল ঠাকরের অন্তেষ্টিতে। যদিও শিবসেনা সূত্রের খবর, নির্বাচনী জোট নয়। অসুস্থ রাজ ঠাকরের খবর নিতেই এদিন ফোন করেছিলেন শিবসেনা প্রধান।
এনসিপির সঙ্গে পনেরো বছরের জোট ভেঙে যাওয়ায় এবার সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কথা চালাচ্ছে কংগ্রেস। শুক্রবার সপা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন শরদ পাওয়ারের দূত। তবে এব্যাপারে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড থেকে কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, কংগ্রেসের সঙ্গে ত্যাগ করায় এবার এনসিপিকে পাশে পেতে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। তবে সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।