মানব পাঠানোর আগে ISRO-র গগনযানে সওয়ার হয়ে মহাকাশে যাবে ব্যোমমিত্র
গগনযানের জন্য বায়ুসেনা থেকে ৪ নভশ্চরকে ইতিমধ্যেই বাছা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২২ সালে মানুষ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর মহাকাশযান গগনযান। তার আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই গগনযানে চেপে মহাকাশে যাবে মহিলা রোবট ব্যোমমিত্র। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, ব্যোমমিত্র রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী। নভশ্চরের সব কাজই করতে পারবে এই রোবট।
কথা বলে মানুষের মতো। বুদ্ধিতেও তুখোড়। মহাকাশে শূন্য মাধ্যাকর্ষণে কীভাবে গবেষণা চালাতে হয়, তা জানে ভালই। একবার দেখলেই ছবি বন্দি হয় ডেটা সিস্টেমে। মহাকাশবিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাতেও পটু। যুবতীর নাম ব্যোমমিত্র। থুড়ি, মানুষ নয়, রোবট। গগনযানে এই মহিলা রোবট পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
মাথা থেকে কোমর অবধি আছে এই রোবটের। দুটো হাতও আছে। কিন্তু পা নেই। যে কোনও দিকে বাঁকাতে পারে শরীর। বুদ্ধি খাটিয়ে গবেষণাও করতে পারে। নির্ভুল তথ্য পাঠাবে ইসরোর গ্রাউন্ড কমান্ডে। বিপদবার্তাও পাঠাতে পারবে অতি দ্রুত। মহাকাশবিজ্ঞানীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলবে। প্রতি মুহূর্তের খবর জানাবে নভশ্চরদের।
গগনযানের জন্য বায়ুসেনা থেকে ৪ নভশ্চরকে ইতিমধ্যেই বাছা হয়েছে। তাঁরা সকলেই দক্ষ পাইলট। তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য শিগগির পাঠানো হবে রাশিয়ান স্পেস এজেন্সিতে।
মানুষ পাঠানোর আগে মহাকাশে যাবে ব্যোমমিত্র। টেস্ট ফ্লাইট সফল হলে ম্যানড-মিশনের কাজটাও সহজ হবে। সফলভাবে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনাও যাবে। ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে তৈরি হতে চলেছে নতুন ইতিহাস।
আরও পড়ুন- নাসির দীর্ঘদিন ধরে পদার্থ সেবনের কারণে ভালো-মন্দের ফারাক বোঝেন না: অনুপম