স্ত্রীর আয়ের হিসেব পেতে স্টিং অপারেশন চালালেন স্বামী
স্ত্রীর চাকরির বৈধতা প্রমাণ করতে স্টিং অপারেশন চালালেন এক ব্যক্তি। রাজেশ পটেলের স্ত্রী মীনা কাজ করতেন সুরাটের এক বেসরকারি সংস্থায়। কিন্তু, সেই সংস্থার কর্ণধার মীনার ওই সংস্থার সঙ্গে কাজ করার কথা অস্বীকার করেন। তখনই স্টিং অপারেশন চালান রাজেশ। তার উদ্দেশ্য ছিল মীনা যে সত্যিই ওই সংস্থার বেতনভুক কর্মচারী তা প্রমাণ করা।
ওয়েব ডেস্ক: স্ত্রীর চাকরির বৈধতা প্রমাণ করতে স্টিং অপারেশন চালালেন এক ব্যক্তি। রাজেশ পটেলের স্ত্রী মীনা কাজ করতেন সুরাটের এক বেসরকারি সংস্থায়। কিন্তু, সেই সংস্থার কর্ণধার মীনার ওই সংস্থার সঙ্গে কাজ করার কথা অস্বীকার করেন। তখনই স্টিং অপারেশন চালান রাজেশ। তার উদ্দেশ্য ছিল মীনা যে সত্যিই ওই সংস্থার বেতনভুক কর্মচারী তা প্রমাণ করা।
সুরাটের এক আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন রাজেশ ও মীনা। আদালত রাজেশকে নির্দেশ দেয় প্রতি মাসে খোরপোশ হিসেবে মীনাকে ২৫,০০০ টাকা দিতে হবে তাকে। আদালতে নির্দেশ অমান্য করে রাজেশ জানায় তার স্ত্রী একটি ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় কাজ করেন ও মাসে ১৭,০০০ হাজার টাকা বেতন পান। এই চাকরির বৈধতা প্রমাণের সাক্ষী হিসেবে সংস্থার কর্ণধারকে আদালতে ডাকেন রাজেশ। কিন্তু, সংস্থার কর্ণধার জানান মীনা তার সংস্থায় কাজ করতেন না। এরপরই একটি ভিডিও ফুটেজ আদালতে পেশ করেন রাজেশ। যেই ফুটেজে দেখা যায় এক মহিলা ওই সংস্থায় কাজ করছেন। যদিও, সংস্থার কর্ণধার তাকে সনাক্ত করতে অস্বীকার করেন। তখন সংস্থার অ্যাকাউন্ট বুক চেয়ে পাঠান রাজেশ।
তবে রাজেশের এই আবেদনে আমোল দেয়নি আদালত। ভিডিও ফুটেজের মহিলাকে মীনা হিসেবে সনাক্ত করার আগে কোনওভাবেই সংস্থার অ্যাকাউন্ট বুক দেখতে রাজি হয়নি আদালত। তাই হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন রাজেশ। অন্যদিকে, এই ভিডিও আসল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মীনা। উচ্চ আদালত জানিয়েছে, মীনা চাইলে ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষার জন্য আবেদন জানাতে পারেন ফ্যামিলি কোর্টে।