গামছা উড়িয়ে, পাথর ছুড়ে ট্রেন দুর্ঘটনা রুখলেন গ্রামবাসী
এই নিয়ে তৃতীয়বার এই ধরনের ঘটনা ঘটল ওই এলাকায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি একইরকম ভাবে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় নয়াদিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস।

নিজস্ব প্রতিবেদন: গামছা উড়িয়ে বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা রুখলেন এক গ্রামবাসী। শুক্রবার সকালে বিহারের কাটিহারে অল্পের জন্য রক্ষা পায় নয়াদিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস। রক্ষা পান যাত্রীরা।
এদিন সকালে চাইধা ও বন্নি হল্ট স্টেশনের মাঝের এক জায়গায় নিজের জমিতে কাজ করছিলেন বিমল কুমার। সেই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিল কামাক্ষ্যা-রাজেন্দ্র নগর ক্যাপিটল এক্সপ্রেস। ট্রেনটি চলে যাওয়ার পরই একটি বিকট শব্দ শুনতে পান বিমলবাবু। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে গিয়ে দেখেন, লাইনে বড়সড় ফাটল তৈরি হয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দূর থেকে তাঁর চোখে পড়ে, আরও একটি ট্রেন আসছে ওই লাইনেই। উপায় না দেখে নিজের গলার লাল গামছাটাই তখন উড়াতে থাকেন তিনি। তাতেও ট্রেন না থামায়, চালকের কেবিন লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকেন বিমলবাবু।
আরও পড়ুন- কখন প্রয়োগ করা যাবে স্বেচ্ছামৃত্যু, ব্যাখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট
এদিকে, চালক বিপদের সংকেত বুঝতে বুঝতেই ইঞ্জিন-সহ নয়াদিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেসের ৫টি কামরা ওই ক্ষতিগ্রস্ত লাইনের ওপর দিয়ে চলে যায়। অবশেষে আপতকালীন ব্রেক চেপে ট্রেনটিকে থামান চালক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেলের পদস্থ আধিকারিকরা। লাইনটি মেরামত করে অবশেষে ট্রেনটি ফের গন্তব্যে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃতীয়বার এই ধরনের ঘটনা ঘটল ওই এলাকায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি একইরকম ভাবে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় নয়াদিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস।