Covid cases spike: চিন-দক্ষিণ কোরিয়াতে দুরন্ত গতিতে বাড়ছে করোনা, ভারতে আগাম সতর্কবার্তা
কোনও এলাকায় কোভিড বাড়লেই আগেভাগে অ্যালার্ট জারি করতে হবে, সংক্রমণ কীভাবে হচ্ছে সেদিকে করা নজর রাখতে হবে, খুব দ্রুত জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় হু হু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাস। বৃহস্পতিবারও সংক্রমণে প্রায় রেকর্ড গড়েছে এই দুই দেশ। এই প্রেক্ষাপটে ভারতকে আগাম সতর্ক করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও ডাকেন। সেই বৈঠকে শক্তহাতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দিকে জোর দিয়েছেন তিনি।
বলা হয়েছে, কোনও এলাকায় কোভিড বাড়লেই আগেভাগে অ্যালার্ট জারি করতে হবে, সংক্রমণ কীভাবে হচ্ছে সেদিকে করা নজর রাখতে হবে, খুব দ্রুত জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে। সেই বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব, ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজির সচিব, ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার একদিনে চিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬ হাজার। অতিমারির মধ্যে এই আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। বেজিং এবং শেনজেন শহরে দফায় দফায় লকডাউনও জারি হয়েছে।
তবে শুধু চিন নয়, পশ্চিম ইউরোপেও নতুন করে প্রাদুর্ভাব তৈরি হয়েছে। এছাড়াও জার্মানি, মার্কিন মুলুকেও নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছে ওমিক্রন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন চোরা ওমিক্রন এই সংক্রমণের নেপথ্যে রয়েছে।
এরই মধ্যে ইজরায়েলে পাওয়া গিয়েছে করোনার এক নতুন প্রজাতি। নতুন এই স্ট্রেনটি ওমিক্রনেরই একটি মিউটেটেড প্রজাতি বলে খবর। ওমিক্রনের BA.1 এবং BA.2 প্রজাতি মিলে এই নয়া স্ট্রেনটি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইজরায়েল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে এই স্ট্রেনটি বিশ্বের গবেষকদের কাছেও অজানা।
ইজরায়েল সরকার ইতিমধ্যেই এই স্ট্রেন নিয়ে সতর্ক করেছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। খুব শীঘ্রই তারা এই প্রজাতি নিয়ে বিবৃতি দিতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে এর জেরে নতুন কোনও তরঙ্গ সৃষ্টি হতে নাও পারে, এমনটাই বলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন, Covid-19: চতুর্থ ঢেউয়ের জন্য তৈরি হচ্ছে ভারত, লক্ষ্য শিশুদের জলদি টিকাকরণ