Azan in Loudspeaker: 'তাহলে তো মন্দিরের আরতিও...', মাইকে আজান বন্ধের মামলায় বিস্ফোরক গুজরাত হাইকোর্ট
Azan in Loudspeaker: দেশের কোথাও কোথাও সমস্যা মেটাতে আজানের সময়ে লাউড স্পিকারের ভলিউমও কম করে দেওয়া হয়। তাতে অবশ্য লাউড স্পিকারে আজান বন্ধের দাবি কম হয়নি।
![Azan in Loudspeaker: 'তাহলে তো মন্দিরের আরতিও...', মাইকে আজান বন্ধের মামলায় বিস্ফোরক গুজরাত হাইকোর্ট Azan in Loudspeaker: 'তাহলে তো মন্দিরের আরতিও...', মাইকে আজান বন্ধের মামলায় বিস্ফোরক গুজরাত হাইকোর্ট](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/11/29/449574-6.png)
জি২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লাউড স্পিকারে আজান দেওয়া নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। বিজেপি ও তার ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলি বারেবারেই এনিয়ে প্রশ্ন তোলে। কোথাও আজানের সময়ে মাইকে হনুমান চালিশা বাজিয়েও প্রতিবাদ করা হয়েছে। কয়েক বছর আগে ভোরের আজান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন গায়ক সোনু নিগম। তা নিয়ে কম তোলপাড় হয়নি। এবার এনিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিল গুজরাত হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- 'অপেক্ষা করুন, কে কোথায় যাবেন? কোথায় টাকা রাখেন সব হিসেব হবে!'
মঙ্গলবার লাউড স্পিকারে আজান বন্ধের একটি আবেদন খারিজ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সুনীতা আগরওয়াল ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ পি-র বেঞ্চের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় এই আবেদনটাই যুক্তিযুক্ত নয়। গুজরাত হাইকোর্টে লাউড স্পিকারে আজান নিষিদ্ধ করার আবেদন করেছিলেন বজরং দলের নেতা সাক্ষীতা জালা। তাঁর দাবি, মাইকে আজান দেওয়ার ফলে শব্দদূষণ হয়। এর ফলে পরোক্ষভাবে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য়ের ক্ষতি হয়। এছাড়াও আরও একাধিক সমস্যা হয় আজানে। এভাবে আজান দেওয়া বন্ধ হোক।
গুজরাট শুধু নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এনিয়ে মামলা হয়েছে। কিন্তু আদালতে তা হালে পানি পায়নি। লাউড স্পিকারে শুধু আজান দেওয়ার জন্যই শব্দদূষণ হয় নাকি শব্দদূষণের পেছনে আরও অনের কারণ রয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে দেশের কোথাও কোথাও সমস্যা মেটাতে আজানের সময়ে লাউড স্পিকারের ভলিউমও কম করে দেওয়া হয়। তাতে অবশ্য লাউড স্পিকারে আজান বন্ধের দাবি কম হয়নি।
বজরং দলের নেতা আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে হাইকোর্টের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, আবেদনের কোনও নিরপেক্ষতা নেই। এই আবেদনের পেছনে কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই। আজানের জন্য খুব বেশি হলে সারাদিনে ১০ মিনিট সময় লাগে। আজানের শব্দের তীব্রতা এতটা থাকে না যে শব্দদূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। ফলে শব্দদূষণের প্রশ্নই নেই। এখানেই থেমে থাকেননি বিচারপতিরা। অভিযোগকারীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, মন্দিরে যে কাঁসর-ঘণ্টা তার কী হবে? আপনাদের মন্দিরে ভোর তিনটের সময়ে ঢোল বাজিয়ে, গান চালিয়ে আরতি হয়। এটাতে শব্দদূষণ হয় না? আপনি কি হলফ করে বলতে পারেন আপনার মন্দিরের কাঁসর ঘণ্টার আওয়াজ মন্দিরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে? দশ মিনিটের আজানে কোনও শব্দদূষণ হয় না। যদি তা হয় তাহলে বৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়ে আবেদন করা উচিত।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)