বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ? ১৪ এপ্রিলের পরও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার আর্জি অধিকাংশ রাজ্যের
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত কোনও ভাবেই দেশব্যাপী লকডাউন একেবারে উঠে যাবে না। ধাপে ধাপে শিথিল করে তোলা হতে পারে নিষেধাজ্ঞা
![বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ? ১৪ এপ্রিলের পরও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার আর্জি অধিকাংশ রাজ্যের বাড়ছে লকডাউনের মেয়াদ? ১৪ এপ্রিলের পরও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার আর্জি অধিকাংশ রাজ্যের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/04/08/243100-lockdown.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা রুখতে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হিসেব মতো ১৪ এপ্রিল সেই লকডাউনের অন্তিম দিন। কিন্তু আদপে কি ১৪ এপ্রিল লকডাউন উঠে গেলে সম্ভব হবে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ রোখা! এরই মাঝে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও চার সপ্তাহ বন্ধ রাখা এবং ধর্মীয় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধির আর্জি জানালেন অধিকাংশ মন্ত্রী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত কোনও ভাবেই দেশব্যাপী লকডাউন একেবারে উঠে যাবে না। ধাপে ধাপে শিথিল করে তোলা হতে পারে নিষেধাজ্ঞা। দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এমন অবস্থায় বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। কেন্দ্র রাজ্যগুলির প্রস্তাব পর্যলোচনা করবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও সোমবার বলেন, "সঠিক সময়ে জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন- কোয়ারেন্টাইনে না থাকলে একজন করোনা রোগী সংক্রমণ ছড়াতে পারেন ৪০৬ জনের শরীরে
দেশব্যাপী লকডাউন না বাড়ালেও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার পরামর্শ বারবারই দিয়ে চলেছেন একাধিক রাজ্যের মন্ত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য বেশিরভাগ স্কুল এবং কলেজেই আর কিছু দিন বাদে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ার কথা। তাই লকডাউনের শেষে ওই ছুটি শুরু করে কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া উচিত স্কুল ও কলেজে পঠনপাঠনের কাজ। পরিবর্তে অনলাইনেই চলুক পড়াশোনা।
মন্ত্রীরা আরও পরামর্শ দিয়েছেন, ধর্মীয় কেন্দ্রগুলি যেখানে সাধারণত বিপুল জনসাধারণের সমাগমের প্রবণতা রয়েছে, সেই জায়গাগুলিকে চরম নজরদারির মধ্যে রাখা উচিত। প্রয়োজনে ড্রোন উড়িয়েও বিশেষ তদারকির মাধ্যমে জনসমাগম রোখার আর্জি জানিয়েছেন এই মন্ত্রীরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ওই বৈঠকে ধর্মীয় স্থল, স্কুল কলেজ ও শপিং মল আরও ৪ সপ্তাহ বন্ধ রাখার কথা আলোচনা করা হয় বলে সূত্রের খবর। লকডাউনের সম্প্রসারণে মত দিয়েছে তেলেঙ্গানাও। বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১ জুনের মধ্যেই সবথেকে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তেলেঙ্গানা ৩ জুন পর্যন্ত লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে।