করোনার প্রতিষেধক হতে পারে গঙ্গাজলে! কেন্দ্রীয় প্রস্তাব খারিজ করল ICMR
গঙ্গাজলের বিশেষ ইমিউনিটি পাওয়ার রয়েছে। এমনই মনে করেন অনেকে। কেউ আবার বলছেন, গঙ্গাজলে নিনজা ভাইরাস রয়েছে যা অন্য প্রাণঘাতী ভাইরাস মারতে সাহায্য করে।
নিজস্ব প্রতিবেদন— গঙ্গাজল দিয়েই তৈরি হতে পারে করোনার প্রতিষেধক। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক এমনই অদ্ভুত সম্ভাবনা দেখেছিল। তার পর তারা চুপ করে বসে থাকেনি। গঙ্গাজল দিয়ে করোনার প্রতিষেধক হতে পারে কি না তা পরীক্ষা করে দেখার আর্জি জানিয়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ—এ। তবে ICMR সেই প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করেছে। জানানো হয়েছে, তারা গঙ্গাজল নিয়ে ক্লিনিকাল স্টাডিজ করতেও আগ্রহী নয়। তাই আপাতত গঙ্গাজল দিয়ে করোনার চিকিত্সা করার কোনও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা সম্ভব নয়। আইসিএমআর-এর ইভ্যালুয়েশন অফ রিসার্চ প্রপোজাল কমিটির প্রধান ডক্টর গুপ্তা জানিয়েছেন, গঙ্গাজলে ভাইরাস প্রতিরোধের কোনও ক্ষমতা আছে কি না তার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তাই এই নিয়ে হঠাত্ করে ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা অসম্ভব।
গঙ্গাজলের বিশেষ ইমিউনিটি পাওয়ার রয়েছে। এমনই মনে করেন অনেকে। কেউ আবার বলছেন, গঙ্গাজলে নিনজা ভাইরাস রয়েছে যা অন্য প্রাণঘাতী ভাইরাস মারতে সাহায্য করে। যদিও আইসিএমআর এসব ভিত্তির কোনও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ খুঁজে পায়নি। পুজো—আচ্চায় ব্যবহৃত গঙ্গাজল কীভাবে ভাইরাস দমনে সাহায্য করতে পারে, তা নিয়ে কোনও পরীক্ষা করতেও তারা রাজি নয়। তাই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করেছে তারা। ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট—এর তরফেও জানানো হয়েছে, গঙ্গাজলের বিশেষ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা আছে বলে কোনও প্রমাণ নেই।
আরও পড়ুন— একজন পরিযায়ী শ্রমিকও যেন হেঁটে বাড়ি না ফেরেন, প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা (NMCG)—এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, করোনার প্রতিষেধক হিসাবে নদীর জল ব্যবহার করা যায় কি না সেটা পরীক্ষা করে দেখতে অনেকে প্রস্তাব দিয়েছিল। আর তাই আইসিএমআর—এর কাছে প্রস্তাব যায়। তবে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি ছাড়া কোনও ট্রায়ালে যেতে রাজি নয় তারা। যদিও জলশক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের প্রস্তাব খারিজের ব্যাপারে আইসিএমআর এখনও সরকারিভাবে কিছু জানায়নি।