শুজা কোনও দিনই কাজ করেনি, জানাল ইভিএম প্রস্তুতকারী সংস্থা
কিন্তু সময় যত এগোচ্ছে, ততই দেখা যাচ্ছে শুজার দাবি ভিত্তিহীন। এর আগে ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়ে দিয়েছিল, ওই দাবির স্বপক্ষে কোনও নথি পেশ করতে পারেনি শুজা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইভিএম হ্যাকিং করা যায়। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম হ্যাকিং করা হয়েছিল। সৈয়দ শুজা নামে এক ব্যক্তি দাবি করেন ইভিএম হ্যাকিংয়ের।
আরও পড়ুন: ইভিএম হ্যাকিংয়ে দাবি করতে গিয়ে মিথ্যার জাল বুনেছেন শুজা? কী কী ফাঁস হল?
যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় দেশজুড়ে। কংগ্রেস আক্রমণ করে বিজেপিকে। অন্য বিরোধীরাও সমালোচনা শুরু করেন। পালটা আক্রমণের পথে নামে বিজেপিও।
কিন্তু সময় যত এগোচ্ছে, ততই দেখা যাচ্ছে শুজার দাবি ভিত্তিহীন। এর আগে ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়ে দিয়েছিল, ওই দাবির স্বপক্ষে কোনও নথি পেশ করতে পারেনি শুজা।
এবার ভারতের নির্বাচন কমিশনের জন্য ইভিএম প্রস্তুতকারী সংস্থা ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (ইসিআইএল) জানিয়ে দিল ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শুজার সঙ্গে সংস্থার কোনও যোগাযোগ ছিল না।
আরও পড়ুন: লন্ডনের বৈঠকে কী করছেন কপিল? পাল্টা তোপ বিজেপির
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ওই সরকারি সংস্থার তরফে একটি চিঠি লেখা হয়েছে। সেখানেই গোটা বিষয়টিই বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, শুজা ওই সংস্থার কর্মী তো ছিলই না। এমনকী ইভিএমের ডেভলপমেন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও যোগাযোগ ছিল না বলে দাবি করেছে ওই সংস্থা।
এখানেই শেষ নয়, এছাড়া একাধিক বিষয়ে শুজার দাবি ভিত্তিহীন বলে সামনে আসতে শুরু করেছে। ইসিআইএল জানিয়েছে, শুজার জন্মতারিখ ভুল। তাছাড়া হায়দরাবাদের যে কলেজ থেকে শুজা পড়েছে বলে দাবি করেছে, ওই কলেজ কর্তৃপক্ষও সেই দাবিকে নস্যাত্ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইভিএম হ্যাকের অভিযোগ করায় ‘প্রযুক্তিবিদ’ শুজার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন
এই পরিস্থিতিতে শুজার বিপদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ, তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।