রাজ্যভাগের পর এবার জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের উদ্যোগ, বৈঠকে নির্বাচন কমিশন
জল্পনা আগেই ছিল। এবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে প্রথম বৈঠক করল কমিশন। বৈঠকে ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা, কমিশনার সুশীল চন্দ্রা।

নিজস্ব প্রতিবেদন: জল্পনা আগেই ছিল। এবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে প্রথম বৈঠক করল কমিশন। বৈঠকে ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা, নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা, কমিশনার সুশীল চন্দ্রা।
আরও পড়ুন-বুধবার চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে চন্দ্রযান-২, জানালেন ইসরোর চেয়ারম্যান
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে রাজ্যটিকে। একটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং অন্যটি লাদাখ। জম্মু ও কাশ্মীরে থাকছে বিধানসভা। লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকছে না। তবে এই বিভাজনের আগে থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাস কথা ভাবছিল কেন্দ্রে। এবার তা নিয়ে উদ্যোগ নিল কেন্দ্র।
বেশ কিছুদিন ধরে জম্মু থেকে একটি দাবি উঠছিল যে এই অঞ্চলে আরও বেশি বিধানসভা আসন থাকা উচিত। সেক্ষেত্রে কাশ্মীর উপত্যকায় আসনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। এমনকি আসনসংখ্যার বিচারে লাদাখও পিছিয়ে রয়েছে বলে দাবি উঠেছিল। দাবি করেছিলেন রাজ্য বিজেপি প্রধান। এলাকা ও জনসংখ্যার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে কেন্দ্র একটি কমিশন গঠন করার কথাও ভাবছিল বলে রাজৈনিতিক মহলের খবর।
আরও পড়ুন-বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধ করার চক্রান্ত করছে কেন্দ্র! পুজোকমিটিগুলিকে আয়কর নোটিসের প্রতিবাদে তৃণমূল
এদিকে, রাজ্যের বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে আগেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ন্যাশনাল কন্ফারেন্স ও পিডিপি। ওমর আবদুল্লা এনিয়ে গত জুন মাসে জানান, সরকার দেশের অন্যান্য স্থানেও ডিলিমিটেশন করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরেও তা করে দেখুক। অন্যদিকে মেহবুবা মুফতি জানান, এনিয়ে সরকারের গোটা পরিকল্পনার কথা আগে জানতে চাই। কারণ এভাবে সাম্প্রদায়িক ভাবনা থেকে রাজ্যকে ভাগ করতে চায় সরকার।