দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭, ভয়ে বাড়ি ফিরছেন বাঙালি শ্রমিকরা
এখনও পর্যন্ত হিংসায় মৃতের সংখ্যা ২৭। আহত দুশো ছাড়িয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভয়ে শুকিয়ে গিয়েছে মুখ। চোখে স্পষ্ট আতঙ্ক। প্রাণভয়ে দিল্লি ছাড়ছেন বাংলার শ্রমিকরা। বেতন বাকি, হাতে টাকা নেই, তাতে কি প্রাণ তো বাঁচাতে হবে! অশান্ত কর্দমপুরীতে মালদহ থেকে কাজে যাওয়া শ্রমিকদের ঘরে ফেরার লাইন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও থামছে না হিংসা। রাতেও কয়েকটি জায়গা থেকে অশান্তির খবর এসেছে। এখনও পর্যন্ত হিংসায় মৃতের সংখ্যা ২৭। আহত দুশো ছাড়িয়েছে।
সন্তানের লেখাপড়া-বাবা-মায়ের চিকিত্সা। মাথার ওপর অনেক চাপ। দুটো বাড়তি রোজগারের আশাতেই দিল্লি যাওয়া। তবে সে সব স্বপ্নে আপাতত ছেদ। প্রাণ বাঁচাতে ঘরে ফিরছেন বাঙালি শ্রমিকরা। রাজধানীর ঝাঁ চকচকে গণ্ডি ছাড়িয়ে এই কর্দমপুরী। খেটে খাওয়া আম জনতার বাস। সেখানে আগুন-গুলি, পাথর বৃষ্টির লড়াই। এখন ১৪৪ ধারা, কারফিউ। কার ভরসায় এখানে পড়ে থাকবেন শ্রমিকরা। ৭২ ঘণ্টায় বড্ড বদলে গিয়েছে কর্দমপুরী। খুল্লমখুল্লা তাণ্ডবের সাক্ষী অলিগলি। রাজপথ শুনশান। তবে অলি গলি থেকে এখন ভেসে আসছে আতঙ্কের আর্তনাদ!
সকালে টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার্তা দেন, শান্তি ও সম্প্রীতি দেশের মূল ভিত্তি। দিল্লির ভাই ও বোনেদের শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আবেদন করেছেন তিনি। বলেছেন,''দিল্লিতে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনাই এখন সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ।''
Peace and harmony are central to our ethos. I appeal to my sisters and brothers of Delhi to maintain peace and brotherhood at all times. It is important that there is calm and normalcy is restored at the earliest.
— Narendra Modi (@narendramodi) February 26, 2020
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অজিত দোভাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। দুপুরে পৌঁছে যান হিংসাগ্রস্ত মৌজপুরে। অলিগলিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দিল্লি পুলিসের স্পেশাল কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) এসএন শ্রীবাস্তব। অজিত দোভাল সাংবাদিকদের বলেন,''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে এসেছি। পুলিস নিজের কাজ করছে। সাধারণ মানুষ একসঙ্গে থাকতে চান। কোনও শত্রুতা নেই। কয়েকজন দুষ্কৃতী হিংসা ছড়াচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ইনশাল্লাহ শান্তি ফিরে আসবে।''
আরও পড়ুন- শুধুই 'হাগপ্লোম্যাসি'! সাত মণ তেল পুড়িয়ে কর্মসংস্থানের 'চুক্তি' করতে ব্যর্থ মোদী