লকডাউনের মধ্যেও মিলবে ছাড়! করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলিকে ৩ জোনে ভাগ করছে কেন্দ্র
করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের মধ্যে জনজীবন সচল রাখতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মোকাবিলায় এখনই লকডাউন তুলে নিতে রাজি নন দেশের ১০ মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সেকথাই জানিয়েছেন তাঁরা। কোনও কোনও রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু কেন্দ্রের ঘোষণাই বাকি। তবে করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের মধ্যে জনজীবন সচল রাখতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-লকডাউনে জমায়েত সরাতে গিয়ে হাত খোয়ালেন পুলিসকর্মী
কী সেই উদ্যোগ? দেশের যেসব অংশ করোনা আক্রান্ত সেইসব অংশকে রেড, অরেঞ্জ জোন ও গ্রিন জোনে ভাগ করতে চাইছে কেন্দ্র। মনে করা হচ্ছে, দেশের যে অংশে করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি তাকে রেড জোন, যেখানে তার থেকে কিছুটা কম তাকে অরেঞ্জ জোন ও যেসব অংশে করোনার প্রকোপ নেই তাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এতে লকডাউনের মধ্যে কিছু ছাড় দিতে পারবে সরকার। এরকম একটি ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণেও দিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, দেশের ৪০০ এমন জেলা রয়েছে যেখানে এখনও করোনা আক্রান্তের কোনও খবর নেই। ওইসব জেলাকে গ্রিন জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে। যেসব জেলায় ১৫টির থেকে কম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ও রোগীর সংখ্যা আর বাড়ছে না তাকে অরেঞ্জ জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এইসব জায়গায় আংশিকভাবে যানবাহন চলাচল ও কৃষিকাজের অনুমতি দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, যেসব জায়গায় ১৫টির বেশি কোভিড কেস ধরা পড়েছে তাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ওইসব জায়গায় সম্পূর্ণ লকডাউন করা হবে।
আরও পড়ুন-আমেরিকার মৃত্যু মিছিলে রয়েছেন ৪০ প্রবাসী ভারতীয়ও, আক্রান্ত দেড় হাজার
জীবন থাকলে পৃথিবী থাকবে। এমননই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাস্তাবিকই লকডাউন করা ছাড়া করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনও উপায় এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। লকডাউন ঘোষণার পর তার প্রভাব অর্থনীতির ওপরে পড়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের একটি হিসেব অনুযায়ী ভারতের মতো দেশের অর্থনীতি করোনার ফলে মারাত্মক ধাক্কা খাবে। চলতি আর্থিক বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ১.৫-২.৮ শতাংশেই থমকে যেতে পারে।