'ডিজিটাল' ভারতে বন্ধ হল ৩৫৮ এটিএম কাউন্টার
নিজেস্ব প্রতিবেদন : দু'মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেল ৩৫৮টি এটিএম কাউন্টার। যদিও, দেশের মোট এটিএম কাউন্টারের তুলনায় মাত্র ০.১৬ শতাংশ।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর দেশে নোট বাতিলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে সেই সময় বাতিল হয় পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। সেই সঙ্গে দেশে দুর্নীতি ও কালো টাকার জোগান রুখতে, ডিজিটাল লেনদেনের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান মোদী। কার্যত, তার পরই দেশ জুড়ে কমতে থাকে নগদে লেনদেন। যার জেরে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে বেশ কিছু এটিএম। সেই এটিএমগুলিকে বন্ধ করে দিল রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি।
আরও পড়ুন- গ্রাহকদের তথ্য ফাঁস করলেই এবার ই-কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা!
দেশের অধিকাংশ এটিএম কাউন্টারেই নিরাপত্তাকর্মী নিযুক্ত রয়েছে। সেই সঙ্গে যন্ত্র সচল রাখতে, তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখতে হয়। প্রয়োজন পড়ে এসি মেশিনের। ফলে বিদ্যুতের বিল ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলে বহু জায়গায়। এমনকী, মেট্রো শহরগুলিতে এটিএম কাউন্টারের জন্য বিপুল টাকা ঘর ভাড়াও গুণতে হয় ব্যাঙ্কগুলিকে। তাই দেশের ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলি যৌথ সংগঠন অপ্রয়োজনীয় এটিএম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৪ সালের পর থেকে ভারতে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায় এটিএম-এর সংখ্যা। ২০১৪ সালে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৯৪টি এটিএম ২০১৭ সালের জুনে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ২২ হাজার ৯২৬-এ। কিন্তু, তারপর থেকেই হ্রাস পেতে শুরু করে সেই সংখ্যা। চলতি বছরের জুলাই মাসে পরিষেবা প্রদানকারী এটিএম-এর মধ্যে ০.১ শতাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অগাস্টে তা আরও ০.০৪ শতাংশ কমে যায়। ফলে, ২ লাখ ২২ হাজার ৯২৬টি এটিএম থেকে কমে বর্তমানে ২ লাখ ২২ হাজার ৫৬৮টি এটিএম দেশে কাজ করছে।