‘আলিঙ্গনই করেছি, রাফাল চুক্তি করিনি’, পাক মাটিতে বসে মোদী সরকারকে কটাক্ষ সিধুর

করতারপুর করিডরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের পাক আমন্ত্রণ খারিজ করেছে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দর সিং। ঠাসা কর্মসূচীর কারণ দেখিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির থাকছেন না বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও।

Updated By: Nov 27, 2018, 08:22 PM IST
‘আলিঙ্গনই করেছি, রাফাল চুক্তি করিনি’, পাক মাটিতে বসে মোদী সরকারকে কটাক্ষ সিধুর

নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানে পৌঁছেই লাহোর থেকে নভজ্যোত্ সিং সিধুর বার্তা, শান্তির দূত হিসাবে এসেছি। দুই দেশের মধ্যে যে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা মেটানোর জন্য এটাই বড় সুযোগ বলে দাবি করেন পঞ্জাবের বিধায়ক নভজ্যোত্ সিং সিধু। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী যদিও বিরোধিতা করে বলেছেন, সিধুর বোঝা উচিত প্রতি দিন আমাদের জওয়ান শহিদ হচ্ছেন। কয়েক মাস আগেই পঞ্জাবের এক মেজর এবং দুই জওয়ানকে হারিয়েছি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের অনুরোধে কর্ণপাত করতে দেখা যায়নি সিধুকে।

উল্লেখ্য, ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন নভজ্যোত্ সিধু। সে সময় সে দেশের সেনা প্রধান বাজোয়ার সঙ্গে আলিঙ্গন করে বিতর্কে জড়ান তিনি। এ দিন লাহোরে সাংবাদিক বৈঠকে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করে সিধু বলেন, আলিঙ্গনই করেছি। কোনও রাফাল চুক্তি করিনি। সিধুর এই মন্তব্যের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন- টিআরএস কংগ্রেসের ‘জেরক্স কপি’, কেসিআর-কে তুলোধনা মোদীর

রাজনৈতিক শিবির ইতিমধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, পাকিস্তানের মাটিতে বসে নিজের দেশের সমস্যা নিয়ে সমালোচনা করা উচিত হয়নি সিধুর। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতি ঘটতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

করতারপুর করিডরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের পাক আমন্ত্রণ খারিজ করেছে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দর সিং। ঠাসা কর্মসূচীর কারণ দেখিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির থাকছেন না বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও। তবে, ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কাউর বাদল এবং হরদীপ সিং পুরী। আগামী ২৮ নভেম্বর গুরুদ্বার করতারপুর সাহিবের দর্শনের জন্য করিডরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। 

আরও পড়ুন- ভোটের মুখে উলটপূরাণ! নোট বাতিলে আখেরে লাভ হয়েছে চাষিদের জানাল কৃষি মন্ত্রক

পঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক থেকে করতারপুর সীমান্তে সাহিব গুরুদ্বার পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটারের একটি করিডর তৈরি করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার এই করিডর তৈরির প্রস্তাবে সায় মেলে মন্ত্রিসভায়। ওই করিডরের নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে ভারত। করতারপুর করিডরকে বার্লিন দেওয়ালের সঙ্গে তুলনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেন, শান্তি স্থাপনে দুই জার্মানি যখন বার্লিন দেওয়াল ভেঙে এক হতে পারে, এই করিডরও নয়া বার্তা দেবে ভারত এবং পাকিস্তানকে। করতারপুরের এই করিডর শুধুমাত্র প্রতীকী, এটি দুই দেশের সেতুবন্ধনের কাজ করবে।

.