কী বলে আপনার হাতের শিরোরেখা? জেনে নিন…
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কোনও ব্যক্তির হস্তরেখা তাঁর ব্যাক্তিত্ব বা ভাগ্য নির্ধারণে সহায়ক হয়ে ওঠে।
কোনও ব্যক্তির হস্তরেখা থেকে তাঁর ব্যাক্তিত্ব বা ভাগ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দেওয়া সম্ভব। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কোনও ব্যক্তির হস্তরেখা তাঁর ব্যাক্তিত্ব বা ভাগ্য নির্ধারণে সহায়ক হয়ে ওঠে। আজ শিরোরেখা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
১) শিরোরেখা যদি বেশি নীচে থাকে এবং রাহুর দিকে ওঠে, তবে জাতক-জাতিকা স্বার্থপর ও অহংকারী ধরনের হয়ে থাকে।
২) যাদের শিরোরেখা অস্পষ্ট এবং অগভীর হয়, তারা জীবনে তেমন উন্নতি করতে পারে না।
৩) যাদের শিরোরেখা রবির ক্ষেত্রের কাছে এসে ঘুরে হৃদয়রেখার সঙ্গে মিলিত হয়, সেই সব জাতক-জাতিকা উদার, সৎ ও উন্নতমনা হয়।
৪) যদি শিরোরেখায় কাটা চিহ্ন থাকে, তবে যে বয়সে কাটা চিহ্ন থাকে সে বয়সে ফাঁড়া বা কষ্টের যোগ থাকে।
৫) যাদের শিরোরেখা ও হৃদয়রেখা সমান্তরাল থাকে, সেই সব জাতক-জাতিকা আজীবন বন্ধুত্ব বা শত্রুতা মনে রাখে।
৬) যাদের শিরোরেখা বৃহস্পতির এবং রাহু মাঝখান থেকে ওঠে, তারা তেজী, সাহসী, সৎ, বাস্তববাদী ও ন্যায়নিষ্ঠ প্রকৃতির হয়।
৭) শিরোরেখায় যদি তিল থাকে, তবে যে বয়সে তা থাকবে সে বয়সে নানা রকম ঝামেলা বা মানসিক কষ্টের যোগ থাকে।
৮) যাদের শিরোরেখা ভাঙা ভাঙা থাকে তাদের ক্ষেত্রে কোনও চিন্তাই স্থায়ী হয় না। এমনকি মাঝে মধ্যে এই সব জাতক-জাতিকা মানসিক ভারসাম্য হারানোর পর্যায় পর্যন্ত চলে যেতে পারে।
৯) যাদের শিরোরেখা ও আয়ুরেখা আলাদা থাকে, সেই সব জাতক-জাতিকা খুব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যক্তিত্বপূর্ণ হয়। এরা নিজের মতে চলতে পছন্দ করে।
১০) শিরোরেখায় যদি চতুষ্কোণ চিহ্ন থাকে, তাহলে জাতক-জাতিকা যে কোনও বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পেয়ে থাকে।
১১) শিরোরেখা থেকে কোনও রেখা যদি স্পষ্ট ভাবে বৃহস্পতির দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে সেই জাতক-জাতিকা বুদ্ধিমান, বিদ্বান হয়। তারা খ্যাতির শিখরে পৌঁছাতে পারে।