এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন, তাহলেই উপভোগ করতে পারবেন যৌন জীবন
ওয়েব ডেস্ক: অফিসের প্রচণ্ড কাজের চাপ, স্ট্রেস। সারাদিনের শেষে রাতের বাড়ি ফিরে আপনার হয়তো মনে হতেই পারে, দু পেগ বিয়ার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি! কিন্তু আপনি যদি দিনের পর দিন এরকমই করে থাকেন, তাহলে কিন্তু মারাত্মক বিপদ। একটু একটু করে নিঃশেষ হচ্ছে আপনার যৌন জীবন। অন্তত এমনটাই বলছে গবেষণা।
চিকিৎসক অবিগেয়েল স্যান বলছেন, অ্যালকোহল বেশিমাত্রায় খেলে টেস্টোটেরন কমে। যা আপনার সেক্স লাইফের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক।
প্রতিদিন প্রচণ্ড ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে পুরুষদের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয় টেস্টোটেরন হরমোন। এই হরমোনের নিঃসরণ কমলেই কমে যায় পুরুষত্ব। তাই পুরুষত্ব ধরে রাখতে টেস্টোটেরনকে ধরে রাখতেই হবে। টেস্টোটেরন অ্যান্ডোজেন নামেও পরিচিত। এই হরমোন টেস্টেস তৈরি করে। টেস্টোটেরন কমে গেলে বীর্যর উৎপাদন কমে যায়। পাশাপাশি শরীরে মেদও জমে। টেস্টোটেরন শরীরে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। মাসল ঠিক রাখে। শরীরে শক্তি বাড়ায়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, এটা কতটা দরকারি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টেস্টোটেরন কমতে থাকে। তবে অনেকের বয়সের আগেই কমে যায়। আর এজন্য অনেকখানি দায়ী খাবার।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল বেশিমাত্রায় খেলে টেস্টোটেরন কমে। অনেকেই ভাবেন অ্যালকোহল সেক্সকে দীর্ঘায়িত করে, তা কিন্তু নয়। অ্যালকোহলের সঙ্গে মিষ্টি কিছু মিশিয়ে খেতেও না বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুধু অ্যালকোহলই নয়, আরও অনেক কিছু খেলেই আপনার সেক্স লাইফ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে.. একবার দেখে নিন সেগুলি কী কী
- আইনক্রিম
আইসক্রিমও শরীরে প্রভাব ফেলে। যোগার্ট আইসক্রিম খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
- পাস্তা
পাস্তায় প্রচুপ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। এতে হাই ক্যালোরি। এই ক্যালোরি যদি আপনি খরচ না করেন, তাহলে শরীরেই তা জমবে।
- স্ন্যাকস
চিপস, কুকিস, চকোলেট বারের মতো স্ন্যাকসে কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটা মুহূর্তের মধ্যে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। স্ন্যাকসের পরিবর্তে সবুজ সবজি, ছোলা, বাদাম এবং ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
- ফাস্টফুড
ফাস্টফুড স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। শরীরকে মেদবহুল করে তোলে। এগরোল, চিকেন চাউমিনে নিম্নমানের চিকেন ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ ফাস্টফুডই তেলে ভাজা হয়। সয়াবিন তেল টেস্টোটেরনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
- চিজ
দুগ্বজাত পণ্য হলেও চিজ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকে চিজ খান।
- তেল-মশলা
ভারতীয়রা খাবারে প্রচুর তেল-মশলা দিয়ে রান্না করেন। এই ধরণের খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে শরীরে মেদ জমে।