Apiculture: হু হু করে কমছে মৌমাছির সংখ্যা, ফুলেই লুকিয়ে ঘাতক বিষ!
Apiculture: ১৬৯ বছরের পুরানো পরীক্ষা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে তথ্য, পরাগায়নকারীরা কৃষিতে উৎপাদনশীলতা এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের অনুপস্থিতি কৃষিতে বিধ্বংসী আকার ধারন করতে পারে...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্তমান দিনে ফুলের ফলন বেশি করার জন্য অত্যধিক পরিমাণে সারের প্রয়োগ করা হচ্ছে, এরফলে যেমন মৌমাছিদের ক্ষতি হচ্ছে তেমনই তারা মারাও যাচ্ছে বিপুল পরিমাণে। এই বিষয়ে ১৬৯ বছরের পুরানো পরীক্ষা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে তথ্য। পরাগায়নকারীরা কৃষিতে উৎপাদনশীলতা এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের অনুপস্থিতি কৃষিতে বিধ্বংসী আকার ধারন করতে পারে।
আরও পড়ুন: Indian Painting: মধুবনী থেকে রাজস্থানি! জেনে নিন ছবির বিপুল বিশ্বে ভারতের রং-বিপ্লবের ইতিহাস...
চাষাবাসের জমিতে সারের ব্যাপক ব্যবহার করার ফলে পরাগায়নকারীদের সংখ্যা ক্রমে যেমন হ্রাস হচ্ছে এবং তেমনই ফুলের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাচ্ছে। বিশ্বের সুদীর্ঘ পরিবেশ সংক্রান্ত গবেষণা থেকে দেখা যাচ্ছে, দুই বছর ধরে রোথামস্টেডের ব্যবহার করার ফলে ব্যপক পরিমাণে ক্ষতি হচ্ছে মৌমাছিদের। এনপিজে বায়োডাইভারসিটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফলগুলি থেকে দেখা যাচ্ছে, নাইট্রোজেন সারের মাঝারি প্রয়োগের ফলে ফুলের সংখ্যা আগের থেকে পাঁচগুণ হ্রাস হচ্ছে, পাশাপাশি মৌমাছির মতো পরাগায়নকারী পোকামাকড়ের সংখ্যাও ক্রমে অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Gold Price: ফের স্বস্তি, বেশ খানিকটা কমল সোনার দাম
পৃথিবীতে প্রায় এক চতুর্থাংশ কৃষিজ ভূমি, যা ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবিকা নির্বাহ করতে সাহায্য করে। যদিও নিষেকের ফলে খাদ্য উৎপাদন হার প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি হচ্ছে। যার ফলে বায়ু এবং জল দূষণের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যেরও ব্য়পকতর ক্ষতি হচ্ছে ক্রমাগত।
পরাগায়নকারীরা কৃষি উৎপাদনশীলতায় এবং প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাসেক্স ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক ডঃ নিকোলাস বেলফোর, খাদ্য শৃঙ্খলে ক্যাসকেডিং সার ব্যবহার করে দেখায় পরাগায়নকারীর সংখ্যা ক্রমে হ্রাস হচ্ছে। তিনি বলেন, যত বেশি সার প্রয়োগ হবে তত পরাগায়নকারীর সংখ্যাও হ্রাস পাবে। সার ফুল এবং পোকামাকড়ের উভয়ের উপরই মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। রাসায়নিক ব্যবহার না করে ফুলের চাষ করা হলে মৌমাছির সংখ্যা নয় গুণেরও বেশি বেড়ে যাবে। এদিকে, নাইট্রোজেন ছাড়া সার মিশ্রনের ফলে তুলনামূলকভাবে উন্নত পরিমাণের পরাগায়নকারী এবং ফুল পাওয়া যায়। কম ফলনকে বিজ্ঞানীরা একটি ভাল দিক হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। এর ফলে জীববৈচিত্র্যের ব্যাপকতর ক্ষতি হয়না।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)