Sukanta Majumder: বিজেপিতে সভাপতি-বিতর্ক; এবার মুখ খুললেন সুকান্ত! নিশানায় কে? জল্পনা তুঙ্গে...
Sukanta Majumder: 'সুকান্ত মজুমদারের বিজেপির প্রতি আছে। সুকান্ত মজুমদার সাংসদ থাকলেও বিজেপি, না থাকলেও বিজেপি। গোটা ভারতবর্ষে ৩০৩ সাংসদ থাকলেও সুকান্ত মজুমদার বিজেপি। যখন বিজেপির হয়তো একটাও সাংসদ থাকবে না, যদিও এরকম দিন আসবে না কোনওদিনও, যদি হয়, সেদিনও সুকান্ত মজুমদার বিজেপি'।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বঙ্গ বিজেপিতে সভাপতি বিতর্ক। 'প্রত্যেকেরই দায়বদ্ধতা থাকা উচিত', এবার মুখ খুললেন খোদ সুকান্ত মজুমদার। নিশানায় কে? জল্পনা তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: Manas Bhunia: মানস ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি ৬ তৃণমূল বিধায়কের!
সুকান্ত বলেন, 'অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে তত্কালীন নেতারা, যাঁরা জনসঙ্ঘের নেতা ছিলেন, পরবর্তী সময়ে যাঁরা ভারতীয় জনতা পার্টি তৈরি করেছিলেন আমি, তাঁদের ইতিহাস ও আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধতাটা সবার সামনে এনেছি। দায়বদ্ধতা প্রত্যেকেরই থাকা উচিত। যাঁরা বিভিন্ন দল করে, সেই দলের প্রতি থাকা উচিত'।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, 'সুকান্ত মজুমদারের বিজেপির প্রতি আছে। সুকান্ত মজুমদার সাংসদ থাকলেও বিজেপি, না থাকলেও বিজেপি। গোটা ভারতবর্ষে ৩০৩ সাংসদ থাকলেও সুকান্ত মজুমদার বিজেপি। যখন বিজেপির হয়তো একটাও সাংসদ থাকবে না, যদিও এরকম দিন আসবে না কোনওদিনও, যদি হয়, সেদিনও সুকান্ত মজুমদার বিজেপি'।
আরও পড়ুন: BSF: দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় ২২ কোম্পানি জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ, কী হচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তে?
ঘটনাটি ঠিক কী? বাংলায় লোকসভা ভোটে ফল আশানুরূপ হয়নি বিজেপির। সাংসদ সংখ্যা ১৮ থেকে কমে এখন ১২। এরপর রাজ্যের ৬ বিধানসভা ভোটেও ভরাডুরি। সবকটি আসনেই জিতেছে তৃণমূল। এমনকী, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যে আসনে জিতেছিল বিজেপি, সেই মাদারিহাটেও উপনির্বাচনে ফুটেছে ঘাসফুল!
এদিকে বাংলায় যিনি বিজেপি সভাপতি, সেই সুকান্ত মজুমদার আবার কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীও। ফলে তিনি সংগঠনের দায়িত্ব কতটা সামলাতে পারবেন? প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই। তথাগত রায়ের মতে, 'সুকান্ত মজুমদার মাঠে-ঘাটে আসছেন না যে, তা নয়। কিন্তু তিনি একটা রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে আছেন, তিনি দুটো কী করে সামলাবেন। দিনে তো ২৪ ঘণ্টাই আছে। তারমধ্য়ে সুকান্ত মজুমদার ওদিকে রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ দিল্লিতে সামলাবেন, আর কলকাতায় রাজ্য সভাপতি পদ সামলাবেন, এটা কী সম্ভব। আজকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ সামলানো ২৪ ঘণ্টা নয়, ২৩ ঘণ্টার কাজ, ৪০ ঘণ্টার কাজ। সেখানে একজনকে দেওয়া হয়েছে, যিনি ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় দিতে পারবেন না। তাও দিল্লি থেকে দেবেন! কী করতে পারেন'?
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)