Baghajatin Building Collapse: এখনও বেপাত্তা প্রোমোটার! শুরু বাড়ি ভাঙার কাজ, ঘরহারা মানুষদের দায়িত্ব নেবে কে?

Baghajatin: গার্ডেনরিচের স্মৃতি উসকে দিল বাঘাযতীনের ঘটনা। বিদ্যাসাগর কলোনীতে ভেঙে পড়ল আবাসনের একাংশ...

Updated By: Jan 15, 2025, 12:04 PM IST
Baghajatin Building Collapse: এখনও বেপাত্তা প্রোমোটার! শুরু বাড়ি ভাঙার কাজ, ঘরহারা মানুষদের দায়িত্ব নেবে কে?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আবার ভাঙলো বাড়ি, গার্ডেনরিচের স্মৃতি উসকে দিল বাঘাযতীনের ঘটনা। বিদ্যাসাগর কলোনীতে ভেঙে পড়ল আবাসনের একাংশ, জখম হন আবাসনের বেশ কিছুজন বাসিন্দা। বিপদজনকভাবে হেলে পড়ে আবাসনের আরও দুটি বহুতল। জলা বুঝিয়ে আবাসন তোলার অভিযোগ প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রোমোটার এখনও বেপাত্তা। ২০১০ এ তৈরি এই বিল্ডিং আগেই হেলে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। ঠিক করার কাজ শুরু হয়েছিল কিন্তু ভবনটি আরও হেলে গিয়ে ভেঙে পড়ল হুড়মুড়িয়ে। 

আরও পড়ুন: Kolkata Tram: ট্রামলাইন বুজিয়ে দেওয়া যাবে না! রাজ্যকে ধমকে হাইকোর্টের নির্দেশ...

ফ্ল্যাটের একজন বাসিন্দা বলেন, প্রথম থেকেই হেলে গিয়েছিল এই আবাসন। যখন কিনেছি তখন তো বুঝতে পারেননি তাঁরা, তৈরি করা ভালো ফ্ল্যাট পেয়েছেন এবং তাঁদের পছন্দ হয়েছে বলে তাঁরা কিনে নিয়েছেন। এই আবাসনেরই আর এক বাসিন্দা দাবি করেন এক দিকে বসে গিয়েছিল আবাসনটি। প্রোমোটার বলেছিলেন নিচে সিমেন্ট দিয়ে ঠিক করে দেওয়া হবে। প্রোমোটার সুভাস রায় আবাসনটি হেলে যাওয়ায় তার সারাইয়ের কাজ চালু করেন। প্রোমোটারের উদ্দ্যোগে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। সারাই চলাকালীনই সম্পূর্ণভাবে হেলে পড়ে বহুতল। 

আরও পড়ুন: Vande Bharat: হাওড়ার পর এবার শিয়ালদহ থেকে বন্দে ভারত, কবে থেকে চালু?

এলাকাটি জলাভূমী ছিল কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া হয়নি মানছেন প্রোমোটারের স্ত্রী। তিনি বলেন জলাভূমীর মতো জায়গায় কাজ চলার সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এখন আস্তে আস্তে হেলে যাচ্ছিল আবাসনটি যা দেখে উনি নিজেই চিন্তা ভাবনা করে বলেন এই আবাসনটিকে সারাই করতে হবে। তাঁর স্বামী কোথায় আছে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন তিনিও জানেননা, যার কারণে কিছুই করতে পারছেননা তিনি। প্রোমোটার সুভাস রায় এখনও অবধি ৭ বা ৮ টি ফ্ল্যাট করেছেন বলে তাঁর স্ত্রী দাবি করেছেন। 

খবর ছড়াতেই হাজির হন এলাকার দুই তৃণমূলের কাউন্সিলার। ফ্ল্যাটের কাজের অনুমতি নেওয়ার দরকার ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এক কাউন্সিলার দাবি করেন লোহার জক দিয়ে হরিয়ানার নাগরা কন্সট্রাকশনকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করানো হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন এত বড় একটা ডিসিশন নিলো, কর্পোরেশনের পারমিশন নিলো কিনা জানেননা তিনি এবং তিনিও কিছু জানতে পারেননি। তিনি এও জানান লোকাল বিধায়কও জানেননা, পুরসভার থেকে পারমিশনই নেননি তাঁরা। এলাকার আর এক লোকাল কাউন্সিলার বলেন জলাভূমিতে আগে যে বাড়ি করাছিল তাঁর সবথেকে বড় দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় এটি। যেই কোম্পানি কাজটা করছে এবং যারা ফ্ল্যাটের মালিক তাঁরাও সমানভাবে দোষী। তাঁরা কখনই নিজেদের দায়িত্ব এড়াতে পারেনা। বিজেপি নেতা শৌমীক ভট্টাচার্য বলেছেন জলাজমির ওপর বাড়ি হয়েছিল সেটা আগে দেখতে হবে। এই মূহুর্তে যদি পশ্চিমবঙ্গের নিয়ম মেনে আদালত বা কোনো সংস্থা ব্যবস্থা নেয়, তাহলে ১০ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে যাবে। রুবি থেকে শুরু করে গরিয়া পর্যন্ত বাঁদিকের যত কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশ কমপ্লেক্সই একই রকমভাবে বেআইনি। 

আরও পড়ুন: Kolkata | SSKM: বেড মিলল না ৬ হাসপাতালে! এসএসকেএম-এ ট্রলির উপরই চিকিৎসা দুর্ঘটনাগ্রস্থের...

বাঘাযতীন বাজার এলাকায় প্রোমোটার সুভাস রায়ের একটি দোকান রয়েছে। সকালে তিনি এসেছিলেন বলে জানালেন তাঁর দোকানের কর্মচারী। হেলে পড়া ফ্ল্যাট ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে পুরসভার নির্দেশে। কিন্তু যাঁরা সব সঞ্চয় এক করে মাথার ছাদ কিনেছিলেন তাঁদের পাশে দাঁড়াবে কে এবং তাঁদের দায়িত্ব নেবে কে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাঘাযতীনের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে গার্ডেনরিচকে। বাসিন্দাদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন এই পরিস্থিতির দায় কার! 
 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.