রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কাল রহস্যের সমাধান পুলিসের

রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কাল রহস্যের সমাধান করে ফেলল পুলিস। রহস্যের মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে পার্থ-দেবযানীর কৈশোরে। ১৯৮৯ অবসরের পর বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন অরবিন্দ দে ও তাঁর পরিবার। কিন্তু, রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। গোটা বাড়িতেই ভাড়াটে বসিয়ে রেখেছিলেন অরবিন্দের ভাই অরুণ দে।

Updated By: Jun 16, 2015, 09:01 PM IST
রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কাল রহস্যের সমাধান পুলিসের

ওয়েব ডেস্ক: রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কাল রহস্যের সমাধান করে ফেলল পুলিস। রহস্যের মূল চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে পার্থ-দেবযানীর কৈশোরে। ১৯৮৯ অবসরের পর বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন অরবিন্দ দে ও তাঁর পরিবার। কিন্তু, রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। গোটা বাড়িতেই ভাড়াটে বসিয়ে রেখেছিলেন অরবিন্দের ভাই অরুণ দে।

সল্টলেকের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে হয় তাঁদের। কৈশোর বয়সের এই ঘটনা মারাত্মক প্রভাব ফেলে দুভাইবোনের মনে। কাকা ও তাঁর সঙ্গে থাকা ঠাকুমাকে ঘৃনা করতে শুরু করে তারা। ৯২তে প্রথমে বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে ঢুকতে পারে অরবিন্দ দে-র পরিবার। ৯৫ সালে দেবযানী মিউজিক স্কুল খুলতে চাইলেও কাকার আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি।

সবমিলিয়ে কাকা ও ঠাকুমার প্রতি ঘৃনা চরমে পৌছয় দু জনের। ২০১৩-য় ঠাকুমার মৃত্যুর পর বাবা ও কাকার মধ্যে সম্পর্ক ভালো হতে শুরু করে। যা মেনে নিতে পারেননি পার্থ-দেবযানী। বাবার সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। দেবযানী মারা যাওয়ার পরও যে কারণে বাবাকে জানাননি পার্থ।  শেষ পর্যন্ত মার্চে দেবযানীর মারা কথা জানতে পারলেও, পার্থ গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন সেই ভয়ে মুখ খোলেননি অরবিন্দ দে। আড়াইমাস উপোসের পর দেবযানী প্রায় কঙ্কালসার হয়ে যাওয়াতেই পচা গন্ধ সেভাবে ছড়াননি বলে দাবি তদন্তকারীদের। 

.