Primary Recruitment: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে ২৬৯ জনের চাকরি ফেরাচ্ছে কমিশন, জারি নির্দেশিকা
ওই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষকরা। তার ভিত্তিতেই গতবছর ২২ অক্টোবর ওই চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে সর্বোচ্চ আদালত

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে চাকরি চলে যাওয়াদের চাকরি ফিরিয়ে দিচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় রয়েছেন ২৬৭ জন শিক্ষক। এনিয়ে জেলায় জেলায় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কমিশনের তরফে। ফলে চাকরি হারানো ওইসব শিক্ষকরা অনেকটাই স্বস্তি পেলেন।
আরও পড়ুন-ব্যাংকে ঢুকে গ্রাহকের টাকার ব্যাগ কাটতে গিয়ে পাকড়াও বাংলাদেশি যুবক, পেছনে অন্য কাহিনী!
এনিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় বলুন বা হাইকোর্টের রায় বলুন সবই প্রাইমারি বোর্ড বা সেকেন্ডারি বোর্ডের সঙ্গে মামলার সাপেক্ষে হয়েছে। ফলে এনিয়ে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া তাদের কাছ থেকেই চাওয়া উচিত। কিন্তু ওঁর আমাকে গতকাল আমাকে জানিয়েছেন যে একটি বিজ্ঞপ্তি ওঁরা বের করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন তার ভিত্তিতে ওঁরা একটি আইনি বৈঠক করেছেন। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে বেশকিছু শিক্ষকের চাকরি যাওয়াটা স্থগিত রেখেছেন। বাকী বিষয়টি প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বোর্ডের বলা উচিত।
উল্লেখ্য, ওই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিক্ষকরা। তার ভিত্তিতেই গতবছর ২২ অক্টোবর ওই চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে সর্বোচ্চ আদালত। বেআইনিভাবে চাকরি হয়েছে এই অভিযোগে ওই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেন, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ২৬৯ জনকে পুর্নবহাল করা যাবে না। এরপর বিষয়টি ডিবিশন বেঞ্চে যায়। সেখানেও ওই রায় বহাল থাকে। ২০১৪ সালের পরীক্ষা অনুযায়ী ২০১৭ সালে প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছিলেন ওই ২৬৯ জন। তাদের চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। চাকরি হারানো ওই ২৬৯ জনের মধ্যে ১৯৯ জন সর্বোচ্চ আদালকে দ্বারস্থ হন।