আসন ভরাতে রাজ্যের প্রস্তাবে রাজি প্রেসিডেন্সির উপাচার্য?
প্রেসিডেন্সির আসন ভরাতে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বদলের প্রস্তাব দিল শিক্ষা দফতর। মঙ্গলবার খালি আসন ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন উপাচার্য। আগামী বছর যাতে একটি সিটও ফাঁকা না থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রেসিডেন্সির আসন ভরাতে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বদলের প্রস্তাব দিল শিক্ষা দফতর। মঙ্গলবার খালি আসন ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন উপাচার্য। আগামী বছর যাতে একটি সিটও ফাঁকা না থাকে, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রেসিডেন্সির মত প্রতিষ্ঠানে আসন খালি! এনিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার এই ইস্যুতে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা থাকা নিয়ে দুটি যুক্তি তুলে ধরেন উপাচার্য। তাঁর বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোনও ছাত্র ভর্তি হলে, ৬ বছর পর্যন্ত তাঁর সিট রেখে দিতে হয়। ছাত্র ক্লাস না করলেও, সিটটি আটকে থাকে। লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার কথা জানালে, তবেই সেই সিটে অন্য ছাত্র ভর্তি করা হয়। তার উপর সংরক্ষিত আসনে নির্দিষ্ট পরিমাণ ছাত্র না পাওয়ায় বহু সিট এখনও ফাঁকা।
তাই এই আসন ভরাতে রাজ্যের প্রস্তাব, প্রথম নিয়মটি বদল করে তা UGC-র বিধির মত করুক প্রেসিডেন্সি। রাজ্যের এই প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষা দফতরকে জানাবেন বলেছেন উপাচার্য।
সূত্রের খবর, উপাচার্য মেনে নিয়েছেন, সংরক্ষিত আসনে ছাত্র অমিল হওয়া সত্ত্বেও, তা সাধারণ ছাত্রদের জন্য খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আগামী বছর যাতে একটি আসনও খালি না থাকে, সেই নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। পাশাপাশি এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রবেশিকা পরীক্ষা বন্ধ করার প্রস্তাব দেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর মতে, সব বিষয়েও নম্বরের ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি করা হোক যাদবপুরে।