জিডি বিড়লার ছাত্রী মৃত্যুর রহস্য লুকিয়ে স্কুলেই, মনে করছে গোয়েন্দা বিভাগ
জিডি বিড়লার আত্মঘাতী ছাত্রীর মৃত্যুতে নয়া ক্লু। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনার আগে? একাধিক তথ্য মিলছে সিসিটিভি ফুটেজে
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগের অনুমান কার্যত স্কুলের গা ফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রীর। এদিন বিষয়টি নিয়ে আরও খানিকটা তৎপর হলেই হয়ত বাঁচানো যেত কৃত্তিকা, এমনটাই বলছেন তাঁরা। ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ঘণীভূত হয়েছে রহস্য। উঠছে একাধিক প্রশ্ন। গতকালও দুই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারীকরা। আজ ছুটির দিনেও সমস্ত শিক্ষিকাদের স্কুলে ডেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
আরও পড়ুন: আজ মিলবে জিডি বিড়লার আত্মঘাতী ছাত্রীর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট
ঠিক কী হয়েছিল এদিন? চলছে ছাত্রীর মৃত্যুর আগের তাঁর গতিবিধির তথ্য তালাশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে, ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও সহপাঠীদের সঙ্গে হেসেই কথা বলছিল সে, স্বাভাবিক ছিল তাঁর আচরণ। এরপর ৫ পিরিয়ড শেষ হতেই সে তাঁর সহপাঠীদের বলে তাঁর মাথা যন্ত্রণা করছে তাই সে সিক রুমে যাচ্ছে। এরপর ১:২৯-এ সিক রুমে যাওয়ার বদলে সে সোজা চলে যায় বাথরুমে। ষষ্ঠ পিরিয়ডে শিক্ষিকা তাঁর খোঁজ করলে সহপাঠীদের থেকে জানতে পারেন সে সিক রুমে। শেষ হয়ে যায় ৬ পিরিয়ডেও। ৭ পিরিয়ডে ফের তাঁর খোঁজ পড়ে এরপর শুরু হয় খোঁজ গোটা স্কুল খুঁজে ফেলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি, শেষে তাঁকে খুঁজতে যাওয়া হয় স্কুলের শৌচালয়ে। বন্ধ দরজার ওপর থেকে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কৃত্তিকা। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
গতকালই খবর পেয়ে শহরে এসেছেন কৃত্তিকার বাবা। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার কারণে গতকাল তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আজ বা কাল জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁর বাবা-মাকে। এরপরই সমস্তটা স্পষ্ট হবে। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলেই অনুমান পুলিসের। তিন পাতার সুইসাইট নোটও তাই বলছে। গোয়েন্দা বিভাগ মনে করছে আগে থেকেই এই পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল কৃত্তিকা, সেই মতো আগেই লিখে রেখেছিল সুইসাইড নোট। সব মিলিয়ে ক্রমশ দানা বাঁধছে জল্পনা। কী বলছে সুইসাইট নোট, শুধুই পড়াশোনার চাপ? পারিবারিক কারণ নাকি অন্যকিছু সেই নিয়েও চলছে তদন্ত।