'কেন মারপিট করল? কেন মারা গেল?' NRS ইস্যুতে দু' তরফেই তদন্তের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

"৪ দিন ধরে রোগী পড়ে আছে। কয়েকজন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। যাঁরা নাটক করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।"

Updated By: Jun 13, 2019, 01:46 PM IST
'কেন মারপিট করল? কেন মারা গেল?' NRS ইস্যুতে দু' তরফেই তদন্তের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : এনআরএস কাণ্ডে দু-তরফে তদন্তের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। এসএসকেএম-এ বসে এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, "এনকোয়্যারি করব। কেন মারপিট করল? কেন লোকটা মারা গেল? আমি দুটো পক্ষ-ই এনকোয়ারি করব। একপক্ষ দাবি করছে, একটা ইঞ্জেকশন দিল আর লোকটা মারা গেল। সেই দাবিটাও তো দেখতে হবে। ওরাও তো মারামারি করেছে। দু-পক্ষের দাবিই তদন্ত করে আমি পাবলিকে তুলে ধরব।"

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলতে এদিন আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরএস কাণ্ডে ৫ জনকে গ্রেফতারের পরেও ধর্মঘট কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, "৪ দিন ধরে রোগী পড়ে আছে। কয়েকজন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার মন্ত্রী গিয়েছেন, পুলিস কমিশনার গিয়েছেন। যাঁরা নাটক করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।" মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়। তাঁরা আউটসাইডার। বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে। শুধু হিন্দু-মুসলাম করা হচ্ছে।"  হাসপাতালে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এরপরই এসএসকেএম চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় কর্মবিরতি তুলে ৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি দেন, "৪ ঘণ্টার মধ্যে যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব। সরকার তাঁদের আর কোনও সাহায্য করবে না।" কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি এসএসকেএম- দাঁড়িয়ে হস্টেল খালি করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। গলায় আই-কার্ড ঝুলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর 'ওরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়, আউটসাইডার' মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান জুনিয়র ডাক্তাররা। মুহুর্মুহু স্লোগান ওঠে, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস।'

আরও পড়ুন, 'ওরা জুনিয়র ডাক্তার নয়,আউটসাইডার',কাজে যোগ দিতে ৪ ঘণ্টা সময়সীমা দিয়ে চরম হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

কোনওভাবেই এলাকা খালি করতে রাজি নন বিক্ষোভকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের একটাই দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সিনিয়র ডাক্তারদেরও ওপিডিতে বাধা দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রশ্ন তোলেন, "এরা ডাক্তার?" মুমূর্ষু রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।

.