শাসকদলের ধর্না মিছিলে যোগ দেওয়া নিয়ে দ্বিধাভিভক্ত অটো এবং ট্যাক্সি চালকরা

ওয়েব ডেস্ক: পরিবহণমন্ত্রীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে বারবার পথে নেমেছেন মদন অনুগামীরা। তামাম কলকাতা জুড়ে বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি প্রতিদিন ধর্নার ডাক দেওয়া হয় ধর্মতলাতেও। তবে কাজের দিনে শাসকদলের ধর্না মিছিলে যোগ দেওয়া নিয়ে দ্বিধাভিভক্ত অটো এবং ট্যাক্সি চালকরা।
আজও সিবিআইয়ের ম্যারাথন জেরার মুখে মদন মিত্র। সকালে ৬.৪০ নাগাদ ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। থানা থেকে বেরিয়ে দলীয় কর্মীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলছেন তা মেনে চলার নির্দেশ দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী।
সারদার তদন্তে মদন মিত্রের সম্পত্তির হদিশ পেতে তত্পর CBI। তাঁর অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। রবিবার দিনভর মন্ত্রীকে জেরা করেছেন CBI অফিসাররা।
ক্লান্ত। তবে অসুস্থ নন। সহজভাবেই CBI-এর প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী। আদালতের নির্দেশে জেরার বেশিরভাগ সময়েই পাশে ছিলেন আইনজীবী। সুদীপ্ত সেন ও কুণাল ঘোষ মদন মিত্রের বিরুদ্ধে যে বয়ান দিয়েছিলেন তার ভিত্তিতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্ন করা হয় প্রাক্তন আপ্তসহায়ক বাপি করিম ও মদন ঘনিষ্ঠ প্রশান্ত প্রামাণিকের জেরায় পাওয়া তথ্য নিয়েও।
সাত সকালেই CGO কমপ্লেক্সে আনা হলেও, মদন মিত্রকে কখনই একটানা বেশিক্ষণ জেরা করা হয়নি। মন্ত্রীকে তাঁর পয়া সোনার চেন ও আংটি পরে থাকারও অনুমতিও দেন তদন্তকারীরা। খেতে দেওয়া হয়েছে বাড়ির খাবার। CBI সূত্রে খবর, মন্ত্রীর ব্যাঙ্ক লেনদেনকেই বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। মাথায় রাখা হচ্ছে তদন্তকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও। মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশ করা হবে মদন মিত্রকে। সেদিন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কী করে এড়ানো যায় তা নিয়েও ভাবছেন CBI কর্তারা।