মাথায় রক্ত পড়েছে নাকি লাল রং? পরীক্ষা হোক, ঐশীর আঘাত নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলন আর দানা বাঁধছে না। সে কারণেই জেএনইউ-তে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করেন দিলীপ ঘোষ।

Updated By: Jan 7, 2020, 05:34 PM IST
মাথায় রক্ত পড়েছে নাকি লাল রং? পরীক্ষা হোক, ঐশীর আঘাত নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের

নিজস্ব প্রতিবেদন: জেএনইউ-র ঘটনাকে 'সাজানো' আখ্যা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ঐশী ঘোষের মাথায় আঘাতের সত্যতা নিয়ে তুলে দিলেন প্রশ্ন। তাঁর কটাক্ষ, মাথায় রক্ত নাকি লাল দাগ দেওয়া হয়েছে, সেটা পরীক্ষার পরই বলা সম্ভব। পুলিস তদন্ত করলেই সবটা স্পষ্ট হবে বলেও মনে করেন দিলীপ। 

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন,''জেএনইউ-র ঘটনা সাজানো। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। এফআইআরও হয়েছে। বাইরের লোক ঢুকল, মারল, তারপর তারা কোথায় চলে গেল। বাইরে থেকে যারা লোক এনেছিল, তারাই লুকিয়েছে ওদের।'' রবিবার জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢোকে একশো জনের মুখোশধারী একটি দল। তাদের লোহার রডের আঘাতে গুরুতর জখম হন জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। তাঁর মাথায় পড়েছে ১৬টি সেলাই। তার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগে সাংবাদিক বৈঠকে অসুস্থ শরীরেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন ঐশী।

ঐশীর উপরে আঘাতের ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন দিলীপ। তাঁর কথায়, ''একজনের মাথায় রক্ত পড়েছে নাকি লাল রং দেওয়া হয়েছে, সেটা এখনও পরীক্ষা করা হয়নি। যাদবপুরে মন্ত্রীকে পেটানো হল, আমাদের নেত্রীকে মারা হল। এখানে মনে হচ্ছে বিরাট কিছু হয়েছে। ঐশী ঘোষকে মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে দেখানো হচ্ছে। একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে দুষ্কৃতীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন ঐশী।'' ঐশী ঘোষ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, ভিডিয়োটি ভুয়ো। 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলন আর দানা বাঁধছে না। সে কারণেই জেএনইউ-তে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়,   ''সিএএ বিরুদ্ধে উত্তেজনা থমকে যাচ্ছে সিএএ বিরোধী আন্দোলন থমকে গিয়েছে লোক পাওয়া যাচ্ছে না। সেই আন্দোলনকে হাওয়া দেওয়ার চক্রান্ত করেছেন। ঠিকঠাক তদন্ত করছে পুলিস। এবিভিপি-র লোকেদের ঘর খুঁজে খুঁজে কারা মারল, সেই সত্য সামনে আসবে।  ভারতকে তুলকালাম করার চেষ্টা হয়েছে। ওরা অস্তিত্বহীনতায় ভুগছে। এটাই তার প্রমাণ। মিডিয়ারও লাভ হচ্ছে। তারা খাবার পাচ্ছে।''

আরও পড়ুন- 'শুনলো মোদী, শুনলো যোগী- আজাদি'র স্লোগানে SFI-র প্রতিবাদ যাদবপুর ক্যাম্পাসে

 

.