দু`দিনের বৃষ্টিতে ফের বেহাল বেহালার রাস্তা

খোয়া উঠে বড় বড় খানা-খন্দে ভরা রাস্তা। এই ছবি কলকাতা ও শহরতলির। দুর্গাপুজোর আগে তড়িঘড়ি প্যাচ-ওয়ার্ক করা হয়েছিল। কিন্তু পুজোর মরসুম মেটার আগেই রাস্তাঘাট ফিরে গেছে পুরনো ভাঙাচোরা অবস্থায়। ব্যতিক্রম নয় বেহালাও। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির পর মেঘ সরেছে কলকাতায়। কিন্তু দুর্ভোগ কমেছে কি?

Updated By: Oct 28, 2013, 08:37 PM IST

খোয়া উঠে বড় বড় খানা-খন্দে ভরা রাস্তা। এই ছবি কলকাতা ও শহরতলির। দুর্গাপুজোর আগে তড়িঘড়ি প্যাচ-ওয়ার্ক করা হয়েছিল। কিন্তু পুজোর মরসুম মেটার আগেই রাস্তাঘাট ফিরে গেছে পুরনো ভাঙাচোরা অবস্থায়। ব্যতিক্রম নয় বেহালাও। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির পর মেঘ সরেছে কলকাতায়। কিন্তু দুর্ভোগ কমেছে কি?
জমা জল নেমে যাওয়ার পর কলকাতা ও শহরতলির বেশিরভাগ রাস্তারই এখন বেহাল দশা। ইএম বাইপাস হোক বা বেহালা, বিধাননগর, কিংবা মধ্য কলকাতার কলেজ স্ট্রিট--সব জায়গার ছবিটা একই।
 
বেহালার ঠাকুরপুকুরে রাস্তার একাংশ জুড়ে চলছে মেট্রোর কাজ। তাই রাস্তা সারাইয়ের দায়িত্বও মূলত তাঁদেরই। পুজোর আগে ডায়মণ্ডহারবার রোড ধরে সভা করতে গিয়ে রাস্তার কঙ্কালসার অবস্থা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তড়িঘড়ি তাই মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে পুরসভা রাস্তা সারাই করে দেয়। কিন্তু দুদিনের বৃষ্টিতেই ফের যেই কে সেই অবস্থা!!
 
খানিকটা এগোলেই জেমস লং সরণী। জায়গা বদলালেও রাস্তার ছবি কিন্তু এখানেও এক। পরপর তিনটি স্কুল রয়েছে এই এলাকায়। একটি চিকিতসাকেন্দ্রও রয়েছে। দিন পনের আগে রাস্তা সারাই হয়েছিল। তবে এখন আর তার চিহ্নমাত্র চোখে পড়বে না।  
 
পুরসভার বক্তব্য, বৃষ্টি বন্ধ হলেই শুরু হবে সারাইয়ের কাজ। এর আগেও বারবার সারাই হয়েছে। কিন্তু জোড়াতালি উঠে গিয়ে দুর্ভোগের দিন ফিরে আসতে বেশি সময় লাগেনি। অভিযোগ, সারাইয়ের কাজে নিম্নমানের জিনিসপত্র ব্যবহার হচ্ছে। কবে টনক নড়বে প্রশাসনের?
 

.