রোজ বদলানো বয়ান এসে থামল `সাজানো` ঘটনায়
প্রেসিডেন্সিতে হামলার পর প্রতিদিনই বদলেছে সরকারের বয়ান। তৃণমূল জড়িত নয় এই দাবির পর সরাসরি দায়ী করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীকে। আক্রমণের হাত থেকে বাদ যাননি উপাচার্য-রেজিস্ট্রারও। আর সবশেষে গতকাল বলে দেওয়া হয়েছে সাজানো ঘটনা।
প্রেসিডেন্সিতে হামলার পর প্রতিদিনই বদলেছে সরকারের বয়ান। তৃণমূল জড়িত নয় এই দাবির পর সরাসরি দায়ী করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীকে। আক্রমণের হাত থেকে বাদ যাননি উপাচার্য-রেজিস্ট্রারও। আর সবশেষে গতকাল বলে দেওয়া হয়েছে সাজানো ঘটনা।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্সিতে তাণ্ডব। ভাঙচুর করা হল ঐতিহ্যশালী বেকার ল্যাবরেটরি।
ছবিতে কিন্তু দেখা গেছে প্রেসিডেন্সির ভিতরে তৃণমূলের পতাকা হাতে তাণ্ডবের দৃশ্য। ক্যামেরাবন্দি হলেন কাউন্সিলার পার্থ বসু সহ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তাবড় নেতারা।
বুধবারের ঘটনায় প্রেসিডেন্সির ভিতরে-বাইরে শাসকদলের উপস্থিতি সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়েছে। দলীয় রঙ না দেখে দোষীদের গ্রেফতার করা হবে বলে উপাচার্যকে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও, হামলার ঘটনায় যে সব নেতাদের দেখা গেছে তাঁদের পুলিস ধরেনি।
রাজ্যপাল যখন পুলিসের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলছেন, তখন হামলার ঘটনায় কে জড়িত তা আগেভাগেই জানিয়ে দিলেন শিল্পমন্ত্রী।
প্রেসিডেন্সির নিরাপত্তারক্ষী পাপ্পু সিংকে কি তবে গ্রেফতার করা হতে পারে। জানতে শনিবার জোড়াসাঁকো থানায় যান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
উপাচার্য, রেজিস্ট্রারকে আক্রমণের পর শনিবার প্রেসিডেন্সির ঘটনা নিয়ে নতুন তত্ত্ব শুনিয়েছে সরকার।
প্রেসিডেন্সিতে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছাত্রদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিস রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলেছেন রাজ্যপাল। কিন্তু, তাতে কি কোনও লাভ হবে ? সংশয়ে ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা যা বলছেন, উপাচার্য-রেজিস্ট্রার যা বলছেন, প্রশাসন তো তা বলছে না। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়।
তাই, যে যাই বলুক না কেন, সরকারের কথাই তো সত্যি হতে বাধ্য।