পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের `মাসুল` দিয়ে সরতে হল দময়ন্তীকে

দেড় মাসের মধ্যেই `কৃতকর্মের পুরস্কার` পেলেন দময়ন্তী সেন। পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর `লাইন`-এর বাইরে হাঁটার দুঃসাহস দেখানোয় কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে বারাকপুরের পুলিস ট্রেনিং স্কুলের ডিআইজি পদে বদলি করা হল তাঁকে। তাঁর বদলে নতুন জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) হলেন পল্লব ঘোষ।

Updated By: Apr 4, 2012, 03:40 PM IST

দেড় মাসের মধ্যেই `কৃতকর্মের পুরস্কার` পেলেন দময়ন্তী সেন। পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর `লাইন`-এর বাইরে হাঁটার দুঃসাহস দেখানোয় কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে বারাকপুরের পুলিস ট্রেনিং স্কুলের ডিআইজি পদে বদলি করা হল তাঁকে। তাঁর বদলে নতুন জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) হলেন পল্লব ঘোষ। মঙ্গলবার পুলিস এস্টাবলিশমেন্ট বোর্ডের তরফে ৬০ জন অফিসারের বদলির সুপারিশ করে তালিকা তৈরি হয়েছিল, তাতে অন্যতম নাম ছিল এই ১৯৯৬-এর ব্যাচের আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনের নাম। বুধবার সেই সুপারিশে মুখ্যন্ত্রীর সিলমোহর পড়ল।
মিডিয়ায় পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডের খবর প্রচারিত হওয়ার পর কলকাতার পুলিস কমিশনার আর কে পচনন্দা এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো ঘটনাকে `তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত` বলে বর্ণনা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ঘটনার সঙ্গে বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ হাসিম আবদুল হালিমের ছেলে ফারুখ হালিমকে জড়িয়ে রাজনৈতিক রং দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দময়ন্তী সেন ধর্ষিতার বক্তব্যের সত্যতা উপলব্ধি করে মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, "সেদিন রাতে কিছু একটা ঘটেছে"। দ্রুত তদন্তের জাল গুটিয়ে এনে অপরাধী রুমান খান, নাসের খান, সুমিত বাজাজ ও কাদের খানকে চিহ্নিত করে দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী টিম। কার্যত এর পরই রাজ্য সরকারের `নেকনজরে` পড়ে যান তিনি। বিভিন্ন মিডিয়ায় ভূয়সী প্রশংসা তাঁকে ক্ষমতাসীন দল ও আমলাকূলের একাংশের চক্ষুশূল করে তোলে।
বস্তুত, পরিস্থিতি আঁচ করেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গিয়েছিলেন দময়ন্তী সেন। বৈঠকের পর যুগ্ম পুলিস কমিশনার জাভেদ শামিমের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের তদন্তের সাফল্যে সংবাদমাধ্যমের প্রশংসায় তিনি বিব্রত, কারণ এই সাফল্য তাঁর একার নয়, পুরো টিমের। কিন্তু বরফ যে তাতে আদৌ গলেনি, এই দক্ষ আইপিএস অফিসারের গুরুত্বহীন পদে বদলির সুপারিশ তা দিনের আলোর মত স্পষ্ট করে দিল। রুটিন বদলির আড়ালে কার্যত সবক শেখানোর বন্দোবস্ত হল পুলিস এস্টাবলিশমেন্ট বোর্ডের সুপারিশে।

.