রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে সংঘাত চরমে, খারিজ সুদ মকুবের দাবি
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এবার কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত তৃণমূলের। মঙ্গলবার কলকাতায় দুই শীর্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম এবং কপিল সিব্বলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন, প্রণব মুখার্জিকে কোনও অবস্থাতেই সমর্থন করবে না তাঁর দল। তারপরই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের দুই শীর্ষ মন্ত্রী বলেন, প্রণব মুখার্জিকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন অপরিহার্য নয়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এবার কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাত তৃণমূলের। মঙ্গলবার কলকাতায় দুই শীর্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম এবং কপিল সিব্বলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন, প্রণব মুখার্জিকে কোনও অবস্থাতেই সমর্থন করবে না তাঁর দল। তারপরই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের দুই শীর্ষ মন্ত্রী বলেন, প্রণব মুখার্জিকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন অপরিহার্য নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন ছাড়াই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে একথা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বৈধ ভোটের ৬৫ শতাংশই পাবেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসে প্রথমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মহাকরণে বৈঠক করেন কপিল সব্বিল। কিন্তু সেই বৈঠক যে ব্যর্থ হয়েছে, তা পরিষ্কার হয়ে যায় কিছুক্ষণ পরই। এরপরই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে ঋণ মকুবের দাবি, সব ইস্যুতেই সরকারকে কড়া আক্রমণে নামে কংগ্রেস।
রাজ্যের ঋণ মকুবের দাবিতে দিল্লিতে দরবার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে কোনও লাভ হবে না, তা-ও সোজাসাপ্টা বলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অর্থ সাহায্য পাচ্ছে না তাঁর সরকার। কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের এই অভিযোগও খারিজ করে দেন পি চিদম্বরম। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, অন্য রাজ্য যা সাহায্য পাচ্ছে তার সমতূল্য বা কখনও বেশিই সাহায্য পাচ্ছে এ রাজ্য। তাঁর বক্তব্য, একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় যা বরাদ্দ হয়েছিল, দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় পশ্চিম বঙ্গের জন্য বরাদ্দ একশো আট গুণ বাড়ানো হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবারই তুমুল বিতর্কের মধ্যেই রাজ্যের ঋণ মকুবের দাবিতে দিল্লিতে সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব গৃহীত হয় বিধানসভায়। সরকারি প্রস্তাবের বয়ানের তীব্র বিরোধিতা করে বাম নেতৃত্ব জানিয়ে দেন তারা যোগ দেবেন না। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারাও থাকছে না তৃণমূলের পাশে। ফলে মোরেটোরিয়ামের দাবি নিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদেরই দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে তা সম্পূর্ণ নস্যাত্ হয়ে যায়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বা ঋণ মকুব ইস্যুতেই চিদম্বরমের আক্রমণ থেমে থাকেনি। এদিনই সন্ধেয় কলকাতা শহরেরে বুকে দাঁডিয়েই বণিক সভার এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিদম্বরম সরাসরি আঙুল তোলেন রাজ্যে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার দিকে।