সার্ন-কাণ্ডে বং কানেকশন
সূত্রপাতটা হয়েছিল বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যন্দ্রনাথ বসুর হাত ধরে। তারপর পেরিয়ে গেছে বহুবছর। এবার ঈশ্বর কণার অস্তিত্বের পরীক্ষামূলক প্রমাণ প্রায় নিশ্চিতভাবেই পাওয়া গেল। সার্নের সিএমএসের গবেষণার সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত ছিলেন কলকাতার সাহা ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রী। গবেষণার অন্যান্য শাখাতেও রয়েছেন বিভিন্ন ভারতীয় এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালি পড়ুয়ারাও।
সূত্রপাতটা হয়েছিল বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যন্দ্রনাথ বসুর হাত ধরে। তারপর পেরিয়ে গেছে বহুবছর। এবার ঈশ্বর কণার অস্তিত্বের পরীক্ষামূলক প্রমাণ প্রায় নিশ্চিতভাবেই পাওয়া গেল। সার্নের সিএমএসের গবেষণার সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত ছিলেন কলকাতার সাহা ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রী। গবেষণার অন্যান্য শাখাতেও রয়েছেন বিভিন্ন ভারতীয় এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙালি পড়ুয়ারাও।
সার্নের পরীক্ষায় খোঁজ মিলেছে নতুন এক পরমাণবিক কণার। বিজ্ঞানীরা একরকম নিশ্চিত এই কণাই হিগসবোসন। সার্নের সিএমএসের গবেষণায় বিজ্ঞানীদের কোর গ্রুপে ছিলেন কলকাতার সাহা ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের পাঁচ অধ্যাপক। অধ্যাপক সুনন্দ বন্দ্যাপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গবেষণার বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন সাত্যকী ভট্টাচার্য, সুচন্দ্রা দত্ত, সুবীর সরকার এবং মনোজ শরণ। ছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানেরই নজন ছাত্রছাত্রীও।
লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে অ্যাটলাস এবং সিএমসি, দুটি অংশে হিগস বোসনের খোঁজে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। শুধু এই দুটি ষন্ত্রাংশ তৈরিই নয়, হিগসবোসনকে বিশ্বদরবারে একপ্রকার নিশ্চিতভাবে হাজির করার ক্ষেত্রে বাঙালির অবদান কিন্তু অনেকটাই।
এযাবত্ কণা পদার্থবিদ্যার যে মৌলিক তত্ত্ব বা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের সাহায্য নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা তাকেই পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠা করছে এই নতুন আবিষ্কৃত পরমাণবিক কণা।
সত্যেন্দ্রনাথ বসুর প্রতিপদ্য থেকেই প্রথম জানা যায় এই কণার অস্তিত্ব। তবে গত ৪৫ বছর ধরে অধরা হিগস বোসন। তাই নতুন আবিষ্কৃত এই কণার নামের সঙ্গেও ওতোপ্রতঃভাবে জড়িয়ে বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম। সেকারণেই বোধহয় সার্নের মুখপাত্রের ভাষায় ---ভারতের হাত ধরেই এই প্রকল্পের সূচনা।