Calcutta High Court: বেলডাঙার ঘটনায় কেন্দ্র-রাজ্যের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের!
এদিন বেলডাঙা যাওয়ার পথে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কৃষ্ণনগরে গ্রেফতার করে পুলিস।

অর্ণবাংশু নিয়োগী: বেলডাঙার ঘটনায় কেন্দ্র-রাজ্যের রিপোর্ট তলব। রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে রিপোর্ট তলব। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দেবে রাজ্য।
এদিন হাইকোর্টে রাজ্য জানায়, আদালতের সামনে মামলাকারীরা অশান্তিতে প্ররোচনা দেওয়ার যে ভিডিয়ো দেখিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতে FIR রুজু করেছে পুলিস। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের প্রচুর পোস্ট ইতিমধ্যে ব্লক করা হয়েছে। বিচারপতি জানতে চান, প্রথমবার গন্ডগোলের পর পুলিস যখন ঘটনাস্থলে গেল এবং তারা বুঝতে পারলেন যে এটা স্পর্শকাতর বিষয়, তাহলে পরবর্তী গণ্ডগোল ঠেকাতে কেন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল না? রাজ্য জানায়, নতুন করে আর কোনও গণ্ডগোলের খবর নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কয়েকজন আহত হয়েছে।
রাজ্যকে নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। পালটা রাজ্যের তরফে বলা হয়, বিজেপি নেতৃত্বকে নিশ্চিত করতে হবে যে তারা যেন এই ঘটনা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে কোনও পোস্ট না করেন। জনস্বার্থ মামলায় প্রয়োজন ছাড়াই কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিক মামলায় পার্টি করা হচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। ওই এলাকার মানুষ এই মামলা করেননি। ওখান থেকে বহু দূরে থাকা ব্যক্তিরা কেন মামলা করছেন? আদালতে প্রশ্ন তোলে রাজ্য।
আর কেন্দ্রীয় এজেন্সি কিছু করুক, এই আবেদন তো কেউ জানাতেই পারেন না। কারণ আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যে কোনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য সক্ষম, কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও প্রয়োজন নেই। সাফ বক্তব্য রাজ্যের। যার পালটা কেন্দ্র সওয়াল করে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ আছে। এটা থেকেই তো অনুমান করা যায় যে ওই এলাকায় অস্থিরতা আছে। প্রসঙ্গত, এদিন বেলডাঙা যাওয়ার পথে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কৃষ্ণনগরে আটকায় পুলিস।
বাধা পেয়ে জাতীয় সড়কের উপরই বসে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিস। গ্রেফতার করে কৃষ্ণনগর কোতয়ালি থানায় হয় সুকান্ত মজুমদারকে। ১৪৪ ধারা ভাঙার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। শেষে সুকান্ত মজুমদার সহ ২০ জন বিজেপি কার্যকর্তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। সুকান্ত মজুমদার বলেন, "১৪৪ ধারা উঠলেই বেলডাঙা যাব আমি। লোকসভায় উপস্থাপন করব বিষয়টি।"
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)