Buddhadeb Bhattacharya Hospitalised: বাইপ্যাপ সাপোর্টে ৫ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, রক্তচাপ-অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বুদ্ধবাবুর
Buddhadeb Bhattacharya Hospitalised: সকাল থেকেই ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে বুদ্ধদেববাবুর শরীরিক অবস্থার। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা। ওষুধে সাড়া দিচ্ছেন। ফলে চিকত্সকদের আশা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন বুদ্ধবাবু
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: নতুন অ্যান্টি বায়োটিক ও ভেন্টিলেশনে রেখে অনেকটাই স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পরিস্থিতি বিচার করে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করা আনা হয়েছে বুদ্ধবাবুকে। রাখা হয়েছে বাইপ্যাপ সাপোর্ট। তাও প্রায় ৫ ঘণ্টা হতে চলল। হাসপাতালের মেডিক্য়াল বুলেটিনে বলা হয়েছে অনেকটাই চেতনা ফিরেছে তাঁর। তাঁর রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ, কার্বনডাই অক্সাইডের মাত্রা রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ তাঁকে দেখতে যান। তিনি বলেন স্থিতিশীল রয়েছেন বুদ্ধবাবু।
আরও পড়ুন-অসুস্থ বুদ্ধকে ঘিরে তুলকালাম, কুণালের 'মহাপুরুষ' মন্তব্যে উঠল রুচির প্রশ্ন
সোমবার হালপাতালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখে বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'আমার যেটুকু মনে হল, আমাকে হাত নাড়লেন। এখন ভালোই আছেন। স্থিতিশীল আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ওঁরা সাধ্যমতো ভালো করে করছে। বোর্ডও তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, প্যারামিটারগুলি অনেকটাই ঠিক আছে। বাদবাকীটা উনি কেমন আছেন, কী আছেন, যাঁরা মেডিক্যাল বোর্ডে আছেন বা যাঁরা চিকিৎসা করছেন, তাঁরাই বলতে পারে। আমি ডাক্তার নই'।
হাসপাতালের তরফে বিকেলের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে চিকিত্সকেরা সর্বক্ষণ নজর রেখে চলেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উপরে। আপাতত তিনি স্থিতিশীল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে সংক্রমণের মাত্রা আগের তুলনায় অনেকটাই কম। কমেছে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা।
এদিন সকাল থেকেই ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে বুদ্ধদেববাবুর শরীরিক অবস্থার। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা। ওষুধে সাড়া দিচ্ছেন। ফলে চিকত্সকদের আশা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন বুদ্ধবাবু। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে যাওয়ার আগে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয় বুদ্ধদেবকে। এর জন্য সকাল থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছিলেন চিকিত্সকেরা। নজর রাখা হচ্ছিল তাঁর ভাইটাল প্যারামিটারগুলির উপরে। এখন তাঁকে রাখা হয়েছে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে।
হাসপাতালে আনার সময়ে বুদ্ধদেববাবুর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে হয়ে যায় ৭০। ভর্তির পর তাঁর অক্সিজেনের মাত্র বেড়ে হয় ৯৩। ফলে চিকিত্সকেরা কিছুটা আস্বস্ত হন। কিন্তু সেই অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সন্ধের একটু পরেই তাঁর অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। বেড়ে যায় আচ্ছন্নভাব। ফলে তাকে দিতে হয় ফুল ভেন্টিলেশনে। দ্রুত তাঁর বেশকিছু পরীক্ষা করা হয়। বদল করে দেওয়া হয় অ্যান্টিবায়োটিক। তারপর আজ সকাল থেকেই অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি। আচ্ছন্ন ভাব অনেকটাই কমেছে।