Kolkata Horrific Incident: জামাইবাবুকে ফোনে ব্লক করাতেই ভয়ংকর পরিণতি! গলফগ্রিনে মাথা, রিজেন্ট পার্কে মিলল মহিলার দেহাংশ
Kolkata Horrific Incident: রিজেন্ট পার্কের একটি ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় কীভাবে একজন দেহাংশ ফেলে রেখে গেল তা নিয়েই এখ প্রশ্ন উঠছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই এলাকার মানুষ এখন আতঙ্কিত
অয়ন ঘোষাল ও রণয় তিওয়ারি: গলফ গ্রিনের একটি ভ্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছিল এক মহিলার মুণ্ড। এবার দেহাংশ মিলল রিজেন্ট পার্কের একটি পুকুরে। ওই ঘটনায় জালে নিহত খাদিজা বিবির জামাইবাবু আতিকুর রহমান। টানা আড়াই ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে তাকে। এখন প্রশ্ন ওই দেহাংশই খাদিজার কিনা। জেরার মুখে খাদিজাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে আতিকুর।
আরও পড়ুন-পরকীয়া থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলেন! রাগে প্রেমিকই মুণ্ড কেটে...রিজেন্ট পার্ককাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুলিস সূত্রে খবর পুকুর থেকে যে দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে তা অভিযুক্তই পুলিসকে জানিয়েছে। তদন্ত প্রায় শেষ। দু-একটি সূত্র পাওয়া বাকী। জানা যাচ্ছে অভিযুক্ত পুলিসকে জানিয়েছিল রিজেন্ট পার্কে ফ্রেন্ডস ক্লাবের পেছনের একটি পুকুরে সে মহিলার দেহের অংশ ফেলেছে। এখন জানা বাকী একজন মহিলাকে খুন ও দেহাংশ পাচার অতিকুর একলা করেছিল কিনা, নাকি তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল।
রিজেন্ট পার্কের একটি ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় কীভাবে একজন দেহাংশ ফেলে রেখে গেল তা নিয়েই এখ প্রশ্ন উঠছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই এলাকার মানুষ এখন আতঙ্কিত। অনেকে বলছেন গত ৬০ বছরে তারা এমন ঘটনা দেখেননি।
নিহত মহিলা খাতিজা বিবি মগরাহাটের বাসিন্দা। এলাকায় পরিচারিকার কাজ করতেন মহিলা। পুলিসের কাছে মূল দুটি প্রশ্ন ছিল। খুন কোথায় হয়েছিল? খুনের পর দেহের বাকি অংশ কোথায় ফেলা হয়েছে? এই খুনে আতিয়ারের অন্য কোনো সহযোগী ছিল কিনা? খুনের পর দেহাংশ একেক জায়গায় ফেলার ক্ষেত্রে কোনো গাড়ি ব্যবহার হয়েছিল কিনা? হয়ে থাকলে সেটা কি গাড়ি? যে আবাসনে গতকাল পুলিস কুকুর গিয়ে থমকে দাঁড়ায় সেই আবাসন এ মাস চারেক আগে রং এর কাজ করার জন্য এসেছিল আতিয়ার।
স্বামীর সঙ্গে সু-সম্পর্ক নেই প্রায় ২ বছর। অভিযোগ, একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল খাদিজার। আতিকুর মৃতার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। মুন্ডু ছেদ করতে সম্ভবত ব্যবহার করা হয়েছে করাত জাতীয় ধারাল অস্ত্র। মাঝে মধ্যেই ওই আবাসনে রিপেয়ারিং এর কাজের জন্য তার যাতায়াত ছিল বলে পুলিস সূত্রে খবর। রাজমিস্ত্রি আতিকুরের সঙ্গে নিহত মহিলার সম্পর্কের টানাপোড়েনেই খুন। অনুমান পুলিসের।
কি কারণে মহিলা কে খুন করা হোলো..? খুনের মোটিভ কি..?
*সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরেই খুন করা হয় মহিলা কে।
কখন খুন করা হয় মহিলাকে..?
১২ তারিখ বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে খুন করা হয়।
কোন জায়গায় খুন করা হয়...?
এই বিষয়ে অভিযুক্ত এখনও কিছু বলছে না।
এইটা কি পরিকল্পনামাফিক খুন..?
এখনও এইটা বলা যাচ্ছে না। তবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কি ধরণের অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে..?
ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে।
অভিযুক্তর সঙ্গে কিভাবে পরিচয় মহিলার..?
মহিলার ছোটো বোনের স্বামী হয় এই অভিযুক্ত আতিউর লস্কর।
অভিযুক্ত কি বিবাহিত..?
হ্যাঁ, অভিযুক্ত বিবাহিত। তাঁর পাঁচটা মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে বড়ো মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।
খাতিজা কি বিবাহিত..?
হ্যাঁ, খাতিজাও বিবাহিত। খাতিজার বড়ো ছেলের বিয়ে হয়ে গেছে। এছাড়া আরও দুটো মেয়ে রয়েছে।
খুনের সঙ্গে কি একজনই জড়িত..?
সব দিক দিয়েই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বডির পার্ট কিভাবে ফেললো..?
অভিযুক্ত যেহেতু রঙ মিস্ত্রির কাজ করে, তাঁর কাছে বস্তা ছিলো। ওই ভাবেই পরিষ্কার করে ফেলেছে।
খুন করার পর কোথায় ছিলো অভিযুক্ত..?
নেহেরু কলোনী, একটা কন্ট্রাক্টরের কাছে থাকত। সেখানেই ছিলো।
১৩ তারিখ সকালে কাটা মুন্ডু উদ্ধারের সময়ে কোথায় ছিলো অভিযুক্ত.?
যেখান থেকে কাটা মুন্ডু উদ্ধার হয় তাঁর ৫০০ মিটারের মধ্যে কাজ করছিল অভিযুক্ত।
তারপর সন্ধেবেলায় বাড়ি চলে যায়।
কোথা থেকে ধরলেন অভিযুক্ত কে..?
লস্কর পাড়া পঞ্চ গ্রাম ডায়মন্ড হারবার, তাঁর বাড়ি থেকেই প্রথমে আটক করা হয়। তারপর গ্রেফতার।
ডেপুটি কমিশনার (SSD) বিদিশা কলিতা জানান..
১৩ তারিখ সকাল ৯টা ৩০ থেকে ৯টা ৪৫মিনিট নাগাদ পুলিশের কাছে খবর আসে, গ্রাহাম রোডে একটা গারর্বেজের মধ্যে প্লাস্টিকে হিউম্যান হেড আছে।
এরপর গল্ফগ্রীণ থানা ও রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
আমাদের প্রথম টার্গেট ছিলো এইটা কার বডি তাঁকে চিন্নিত করা।
মহিলার নাম, খাতিজা বিবি।
বয়েস ৩৫ থেকে ৪০।
পৈলান পাড়া মগরাহাটের বাসিন্দা।
মহিলা প্রত্যেকদিন রিজেন্টপার্ক ও গল্ফগ্রীণ এলাকায় কিছু বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে।
মহিলার ছোটো বোনের স্বামী আতিউর লস্কর এখানে রং মিস্ত্রির কাজ করে। একসঙ্গেই তাঁরা ট্রেনে করে আসে।
আতিউর লস্করের একটা ভালোবাসা ছিলো খাতিজা বিবির সঙ্গে।
ফোন কল ঘেটে জানা যায়, ঘটনার দু - তিনদিন আগে আতিউর কে ফোনে ব্লক করে দিয়েছিল খাতিজা।
এর জন্য অভিযুক্তর রাগ হয়।
১২ তারিখ খাতিজা কে ডাকে আতিউর। বলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি ফিরবো।
অভিযুক্ত, খাতিজা কে ভালো বাসতো।
মহিলা রাজি না হওয়ায় সজোরে ধাক্কা মারে। মহিলার মাথায় গিয়ে লাগে।
এরপরই খুন করে তাঁকে।
অভিযুক্ত কে আগামীকাল কোর্টে তোলা হবে।
পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)