Exclusive Abhishek: 'ওর মন্তব্য ইগনোর করছি ', অভিষেকের খোঁচার পাল্টা কল্যাণ
রবিবার জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিষেকের 'শিরদাঁড়া' কটাক্ষের পাল্টা দিলেন কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়ও।
![Exclusive Abhishek: 'ওর মন্তব্য ইগনোর করছি ', অভিষেকের খোঁচার পাল্টা কল্যাণ Exclusive Abhishek: 'ওর মন্তব্য ইগনোর করছি ', অভিষেকের খোঁচার পাল্টা কল্যাণ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/02/07/364048-abishek-kalyan.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: জানুয়ারি মাসে অভিষেকের ‘ডায়মন্ডহারবার মডেল’ ও পুরভোট নিয়ে তাঁর ‘ব্যক্তিগত মতামত’-কে কাঠগড়ায় তুলে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ (Kalyan Banerjee)। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমি আর কাউকে নেতা মানতে রাজি নই।'। কল্যাণ প্রসঙ্গে আগেই মুখ খুলেছিলেন অভিষেক। এদিন আবার তোপ দাগলেন। আর রবিবার জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিষেকের 'শিরদাঁড়া শক্ত প্রমাণ করুন' কটাক্ষের পাল্টা দিলেন কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়ও।
রবিবার একান্ত সাক্ষাৎকারে অভিষেক আরও স্পষ্ট করেন, ''কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন আমি অভিষেককে মানি না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানি। ঠিকই বলেছেন। আমায় মানবে কেন? আমি তৃণমূলের অতি ক্ষুদ্র-তুচ্ছ কর্মী মাত্র। চাই না আমায় মানুক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী আমিও মানি। তবে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, অভিষেক আগে জিতে আসুক তারপর মানব। আমায় তখনও মানতে হবে না। তৃণমূলের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে শক্ত শিড়দাঁড়ার প্রমাণ দেখান।''
এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। কল্য়াণের মন্তব্য নিয়ে অভিষেক বলেন, কবি শ্রীজাত-র একটা কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে উনি লিখলেন, 'তুমিও মানুষ আমিও মানুষ/ তফাত্ শুধু শিরদাঁড়ায়।' মানে আমার বিরুদ্ধে বলে আপনি আপনার শিরদাঁড়া প্রমাণ করতে চাইছেন? আমার বিরুদ্ধে বলতে হবে না। আমি খুব ক্ষুদ্র মানুষ। আমার বক্তব্য, তৃণমূল কর্মীদের হয়ে দাঁড়ান। তবে আপনার শিরদাঁড়া শক্ত প্রমাণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন, Exclusive Abhishek: আমার বিরুদ্ধে বলে নিজের শিরদাঁড়া প্রমাণ করছেন! কল্যাণকে খোঁচা অভিষেকের
তবে অভিষেকে এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও কিছু বলতে নারাজ কল্যাণ। অভিষেকের কটাক্ষ 'ইগনোর' করার কথা বলে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন। শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেছেন, ''উনি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এই সাক্ষাৎকারটি ওনার ব্যক্তিগত। মতামতও ওনার ব্যক্তিগত। এটা তো পার্টির প্রেসমিট নয়। দিদির কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। কোনও মন্তব্য করব না। ওর মন্তব্য ইগনোর করছি। মানুষ জানে আমি কী ছিলাম, কী করছি। আগামীতে তার মূল্যায়ণও মানুষই করবে।''
সেই সঙ্গে অভিষেক আরও বলেন, ''আপনি তখন বলছেন যখন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যয় যোগ দিয়েছেন। উনি তিন বছর ত্রিপুরায় কাজ করবেন। বাকি দুজন যখন যোগ দিয়েছে সেদিন বলেননি কেন? আপনার ব্যক্তিগত শত্রুতা যাঁর সঙ্গে সেখানে মুখ খুলবেন। এটা হবে না।'' রাজনৈতিক সমীকরণে শ্রীরামপুরে রাজীব চিরকালই কল্যাণের বিরুদ্ধে। ডোমজুর বিধানসভাও কল্যাণের কেন্দ্রেই পড়ে। সুতরাং, অভিষেক রাজীবকে দলে ফেরানোয় তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কল্যাণ।