ভ্যাকসিন নিয়ে চাপানউতোর শুরু, নাম না করে Serum কর্তাকে বিঁধলেন Bharat Biotech প্রধান
নিয়ে কৃষ্ণ এলা বলেন, আমরা একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি। ব্রিটেনের ডেটার উপরে নির্ভর করে কীভাবে একটি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া যায়! এই প্রশ্নও আমাদের রয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: জরুরি ক্ষেত্রে ভারত বায়েটেকের করোনা টিকা Covaxin-কে অনুমোদন দিয়েছে Drug Controller General of India(DCGI)। এনিয়ে এখন দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে। যে ভ্যাকসিনটি এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফলের পরিসংখ্যান দিতে পারেনি তাকে কেন অনুমোদন দেওয়া হল? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন-Covid বিধি ভাঙায় Arbaaz-Sohail-Nirvaan -র বিরুদ্ধে এফআইআর BMC-র
পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয়েছে AIIMS প্রধান ডা রণদীপ গুলেরিয়াকে। তিনি জানিয়েছেন Covaxin একটি ব্যাকআপ। দেশে নতুন করোনা প্রজাতির সংক্রমণ হলে এটির ব্যবহার হবে। পাশাপাশি Covaxin নেওয়ার ফলে কোনও সাইড এফেক্ট হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এনিয়ে এবার মুখ খুলল খোদ ভারত বায়েটেক(Bharat Biotech)।
Bharat Biotech-র এমডি ডা কৃষ্ণ এলা সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, যেভাবে আমাদের সমালোচনা করা হচ্ছে তা আমাদের প্রাপ্য ছিল না। দুশো শতাংশ সততার সঙ্গে আমরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছি। আমাদের কোম্পানির পুরনো ট্র্যাক রেকর্ড দেখুন। আমাদের অনভিজ্ঞ বলার কোনও কারণ নেই। আমার শুধু কোনও ভারতীয় কোম্পানিই নয়। একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি। এখনও পর্যন্ত আমরা মোট ১৬টি ভ্যাকসিন তৈরি করেছি। দুনিয়ার একাধিক দেশে আমরা আমাদের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্র্য়ায়াল চালিয়েছি।
Covaxin has shown less than 10 % adverse reactions, while others have 60-70% adverse reactions.AstraZeneca was giving 4g paracetamol to volunteers to suppress such reactions. We haven’t given paracetamol to any volunteer. I can assure our vaccine is a 200 % safe:Bharat Biotech MD pic.twitter.com/PikeDn0v3D
— ANI (@ANI) January 4, 2021
সম্প্রতি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে নাম না করে Covaxin-কে নিশানা করেন সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পনাওয়ালা মন্তব্য করেন, 'দেশে মাত্রা ৩টি ভ্যাকসিন করোর বিরুদ্ধে কার্যকরী। এগুলি হল ফাইজার, মর্ডানা ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকা। বাকী সব নিরাপদ। তবে তা জলের মতো। ' পাল্টা দিয়েছেন কৃষ্ণ এলা। ভারত বায়োটেক প্রধান বলেন, 'কিছু লোকাল কোম্পানি বলছে অন্য কোম্পানির ভ্যাকসিন নিরাপদ। তবে তা জলের মতো। করোনা বিরুদ্ধে মাত্র ২-৩টি ভ্যাকসিন কার্যকর। এরকম দাবি আমাদের মতো বিজ্ঞানীদের পক্ষে অপমানজনক।'
কৃষ্ণ এলা আরও বলেন, 'আমারই প্রথম Zika ভাইরাসকে চিহ্নিত করেছিলাম। দুনিয়ায় আমরাই প্রথম জিকা ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের টিকার জন্য পেটেন্টের আবেদন করেছিলাম। এটা একেবারেই ঠিক নয় যে আমাদের করোনা ভাইরাসের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য অস্বচ্ছ।'
আরও পড়ুন-নিজের নামে স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) কার্ড করালেন মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, রবিবার ডিজিসিআই জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য Covaxin ও Covishield -কে অনুমোদন দেয়। তার পরই বিতর্ক শুরু হয়। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয় কোভ্যাকসিন মাত্র ২ ট্রায়াল শেষ করেছে। তৃতীয় ট্রায়াল শুরু হয়েছে নভেম্বরে। দুটি ট্রায়ালে প্রমাণ হয়েছে ভ্যকসিনটি নিরাপদ। কিন্তু তৃতীয় ট্রায়ালে প্রমাণ হবে এটি কতটা কার্যকরী।
এনিয়ে কৃষ্ণ এলা বলেন, আমরা একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি। ব্রিটেনের ডেটার উপরে নির্ভর করে কীভাবে একটি ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেওয়া যায়! এই প্রশ্নও আমাদের রয়েছে।