আর ট্রায়াল নয়, সরাসরি রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি চাইল সিপলা, হেটেরো ল্যাব!
ভারতের তিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা এই ওষুধ তৈরির অনুমতি পাওয়ায় কিছুটা হলেও আশা জাগাচ্ছে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2019/01/24/171263-sudip2.jpg?itok=f8x2KbO2)
![আর ট্রায়াল নয়, সরাসরি রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি চাইল সিপলা, হেটেরো ল্যাব! আর ট্রায়াল নয়, সরাসরি রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি চাইল সিপলা, হেটেরো ল্যাব!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2020/05/24/251780-anti.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার চিকিৎসায় গোটা বিশ্বে আশা জাগিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়েন্ট ‘গিলেড সায়েন্স’-এর তৈরি রেমডিসিভির। ভারতের তিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাকেও এই ওষুধ তৈরির অনুমতি দিয়েছে ‘গিলেড সায়েন্স’। ভারতের সিপলা (Cipla), হেটেরো ল্যাব (Hetero Labs Ltd) আর জুবিল্যান্ট লাইফ (Jubilant Life)-কে রেমডেসিভির তৈরির অনুমতি দিয়েছে ‘গিলেড সায়েন্স’। এই তিন সংস্থার মধ্যে এ বার সিপলা (Cipla), হেটেরো ল্যাব (Hetero Labs Ltd) সরাসরি রেমডেসিভির উৎপাদনের অনুমতি চাইল কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (Drug Controller General of India)বোর্ডের কাছে।
ভারতে ক্রমশ করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আরও সময় দিতে চাইছে না সিপলা, হেটেরো ল্যাব। জরুরি ভিত্তিতে ভারতের জন্য জেনেরিক রেমডিসিভিরের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে দিতে চাইছে এই দুই সংস্থা। এ বিষয়ে ডিসিজিআই (Drug Controller General of India)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের এই জরুরি পরিস্থিতিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর্ব থেকে এই দুই সংস্থাকে অব্যহতি দেওয়া যায় কিনা তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। এর জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি নির্দিষ্ট কমিটি আলোচনা চালাচ্ছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়া রেমডেসিভির উৎপাদনের সুবিধা বা অসুবিধার দিকগুলি বিশ্লেষণ করে দেখছে ডিসিজিআই (Drug Controller General of India)-এর বিশেষজ্ঞ কমিটি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উদ্যোগে এ দেশে ইতিমধ্যেই রেমডেসিভির তৈরির উপকরণ বানানো শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ICIR-IICT-এর ল্যাবে রেমডেসিভির তৈরির মূল উপকরণগুলি বানানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানান, করোনা একটি আরএনএ ভাইরাস। এই আরএনএ ভাইরাস যত বেশি করে প্রতিলিপি বানিয়ে নিজের সংখ্যা বাড়াবে, ততই এই জিনগত গঠন পরিবর্তীত হয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের দাবি, অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ রেমডিসিভির করোনাভাইরাসের প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম।
তাই ভারতের তিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা এই ওষুধ তৈরির অনুমতি পাওয়ায় কিছুটা হলেও আশা জাগাচ্ছে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে। এ বার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে না গিয়ে জেনেরিক রেমডিসিভিরের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে দিতে চাইছে এই দুই সংস্থা। অনুমতি মিললে আরও দ্রুত করোনার চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের ব্যবহার শুরু হবে ভারতে। উপকৃত হতে পারেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ।