সুশান্ত মৃত্যুতে রয়েছে অন্ধকার দুনিয়ার 'ডার্কনেট'-এর যোগ!
রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে উঠে এসেছে সিবিডি অয়েল, এমডিএমএ, গাঁজা, হ্যাশ, মারিজুয়ানার মতো মাদকের নাম।


নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য যতদিন যাচ্ছে ততই জটিল হয়ে উঠছে। এই মৃত্যু রহস্যে উঠে এসেছে মাদক চক্রের যোগ। রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে উঠে এসেছে বেশকিছু মাদকের নাম। যার মধ্যে রয়েছে সিবিডি অয়েল, এমডিএমএ, গাঁজা, হ্যাশ, মারিজুয়ানার মতো মাদক।
তবে প্রশ্ন উঠছে এই মাদকগুলি কীভাবে আসতো?
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) সূত্রে খবর, ডার্কনেটের মাধ্যমে এই মাদকগুলি আনা হত। আর ডার্কনেটের মাধ্যমে কেউ মাদকের লেনদেন করলে তার পরিচয় পাওয়া ভীষণই মুশকিল। অন্ধকার দুনিয়ায় বহু অবৈধ কাজই এই ডার্কনেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে বলে খবর। সেক্ষেত্রে সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনাতেও এই ডার্কনেটের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি এখনও তদন্ত সাপেক্ষ।
ডার্ক নেট কী?
জানা যাচ্ছে, বিশ্বের মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। বাকি নেট দুনিয়ার ৯৬ শতাংশ 'ডার্কনেট'-এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ডার্কনেটের মাধ্যমে ভুয়ো আইডি তৈরি করে অপরাধ জগতের বিভিন্ন সরঞ্জাম আনানো যেতে পারে। এই ডার্কনেটের মাধ্যমেই বহু অবৈধ ব্যবসাও চলে। এই ক্ষেত্রে টাকার লেনদেনও ভার্চুয়াল জগতের মাধ্যমেই হয়। যাতে সহজে কোনও তদন্তকারী সংস্থা এই অপরাধ জগতের নাগাল না পায়। আর এই ডার্কনেটের ৬৩ শতাংশ ব্যবহার হয় মাদক কেনাবেচায়। সারা দেশে এমন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী রয়েছেন যাঁরা এই ডার্কনেটের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করেন। যার তদন্ত করছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)।
আরও পড়ুন-রিয়ার মাদক যোগ, সূত্র ধরেই উঠে এল বি-টাউনের মাদক চক্র নিয়ে বড় তথ্য
আরও পড়ুন-SSR -এর কর্মীদের নিয়ে রমরমিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়েছেন রিয়া! প্রকাশ্যে হোয়াটসঅ্যাপ
সূত্রের খবর দেশের যুব সম্প্রদায়ের একাংশ এই ডার্কনেটের ব্যাবহার করেন। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্রাউজার ডাউনলোড করে অবৈধভাবে উপার্জন করা হয়। আবার দেশের সুরক্ষার প্রয়োজনে এই ডার্কনেটের মাধ্যমে অপরাধমূলক কাজের উপর নজরদারিও চালানো হয় বলে জানা যায়। মার্কিন নৌবাহিনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রথম ডার্কনেটের ব্যবহার হয়েছিল বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত মৃত্যুতে এই ডার্কনেটের যোগ রয়েছে কিনা তার তদন্ত করছে NCB। কারণ, রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে স্পষ্ট মাদক লেনদেনে তাঁর যোগ রয়েছে। আর মাদক কেনাবেচায় যে 'কোড' ব্যবহার করা হয়,তাও রিয়ার জানা। এদিকে যে ৮টি হার্ডডিক্স রিয়া চলে আসার আগে নষ্ট করে দিয়েছিল বলে জানা যায়, তাতে কী এমন ছিল, যেকারণেই ওগুলো নষ্ট করা হয়েছিল?