Lata Mangeshkar Passes Away: কানাডায় লতার ছবি তুলে দিয়ে সেদিন সুরের রানিকে কী বলেছিলেন মুকেশ?
বাবার সঙ্গে লতার ডুয়েটগুলি ছিল 'আউট অফ দিস ওয়ার্ল্ড', মত নীতিন মুকেশের।

নিজস্ব প্রতিবেদন: বলিউডে ফিল্ম মিউজিকের স্বর্ণযুগে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে মুম্বইয়ের (তৎকালীন বম্বে) সমস্ত পুরুষকণ্ঠই অসাধারণ সব গানের জন্ম দিয়েছেন। হেমন্ত, তালাত মামুদ, মান্না, মুকেশ, রফি, কিশোর, মহেন্দ্র কাপুর-- একের পর এক প্রমিনেন্ট মেল সিঙ্গারের সঙ্গে মনে রাখার মতো সব ডুয়েট তৈরি করেছেন সুরসম্রাজ্ঞী।
মুকেশের সঙ্গেও লতার বেশ কিছু চিরস্মরণীয় গান তৈরি হয়েছে। যা আজও সারা ভারত গুনগুন করে। 'আজা রে অব মেরা দিল পুকারা', 'শাওন কা মাহিনা', 'ও মেরে সনম', 'এক পেয়ার কা নগমা হ্যায়', 'কভি কভি মেরে দিল মে'র গান হয়তো ৫০ বছরে একবারই তৈরি হয়। লতার প্রয়াণের পরে একটি সংবাদমাধ্যমে লতার স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মুকেশপুত্র নীতিন তাঁর বাবার সঙ্গে লতার ডুয়েটের প্রসঙ্গে কিছু গান স্মরণ করে বলেছেন, বাবার সঙ্গে লতার ডুয়েটগুলি ছিল একেবারে 'আউট অফ দিস ওয়ার্ল্ড'।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Passes Away: কেন লতা বলে দিলেন কোনওদিন একটি গানও গাইবেন না রফির সঙ্গে?
ওই স্মৃতিচারণাতেই নীতিন মুকেশ খুবই চিত্তাকর্ষক এক ব্যক্তিগত অ্যানেকডোটেরও বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, সেটি ছিল মুকেশের প্রকারান্তরে শেষ বিদেশ সফর। ১৯৭৬ সাল। ওই বছরই প্রয়াত হন তিনি। কানাডায় কনসার্ট ছিল। সেই সফরে লতাও ছিলেন। সেখানে সঙ্গীতানুষ্ঠানের ফাঁকে টরেন্টোর সিএন টাওয়ারে বেড়াতে গিয়েছিলেন সকলে। সেই সময়ে ওই টাওয়ারটিই ছিল কানাডার সব চেয়ে উঁচু টাওয়ার। এর একেবারে টপে একটি রেস্তোরাঁও ছিল।
মুকেশের তখন ছিল একখানি রলেইফ্লেক্স ক্যামেরা। নীতিন জানাচ্ছেন, সেদিন গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎই মুকেশ টাওয়ারের সামনে লতাকে দাঁড় করিয়ে লতার একটি সিঙ্গল ছবি তুলে দিয়েছিলেন। ছবিতে লতাকে খুবই সলজ্জিত দেখাচ্ছে। কিন্তু সব চেয়ে মনে রাখার মতো বিষয় হল, এই ছবিটির জন্য মুকেশের ক্য়াপশন-ভাবনা। সেদিন মুকেশ তাঁর তোলা লতার ওই ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন-- 'দ্য় টলেস্ট টাওয়ার ইন কানাডা উইথ দ্য টলেস্ট টাওয়ার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড'!
এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে, লতাকে তাঁর সতীর্থরাও কতটা সম্মান করতেন। তাঁরা নিজেরাও কতটা মুগ্ধ ছিলেন লতার প্রতিভায়।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Passes Away: রেকর্ডিং রুমে রফির উপর বিরক্ত লতা; সলিল চৌধুরীর ব্যবহারেও অবাক রফি!