চার বছরের টানাপোড়েনের পর পর্দায় আসছে আনন্দ কুমারের 'সুপার ৩০'

জি নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় আনন্দ কুমার।  

Updated By: Mar 30, 2018, 09:32 PM IST
চার বছরের টানাপোড়েনের পর পর্দায় আসছে আনন্দ কুমারের 'সুপার ৩০'

নিজস্ব প্রতিবেদন: গতবছর কাবিল ছবিতে দৃষ্টিহীনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন হৃতিক রোশন। কাবিলের পর 'সুপার ৩০'-র আনন্দ কুমার হয়ে বড়পর্দায় ফিরছেন তিনি। ছবির জন্য প্রচুর পরিশ্রম করছেন গ্রিক গড। আগামী বছর প্রজাতন্ত্র মুক্তির পাবে সুপার ৩০। আনন্দ কুমারের জীবনের কাহিনি সেলুলয়েডে আসতে সময় লেগেছে ৪ বছর। জি নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এমনই নানা অজানা কাহিনি শোনালেন 'রিয়েল নায়ক' আনন্দ কুমার। 

আনন্দ কুমারের কথায়, ''৪ বছর আগে আমার কাছে একজন এসে বলেছিলেন, আপনার জীবনের উপরে একটা ছবি তৈরি করব। মনে হয়েছিল, কেউ বোধহয় মস্করা করছে। নাম জিজ্ঞেস করায় আগন্তুক পরিচয় দিলেন, সঞ্জীব দত্ত। ওনার নাম আগে কখনও শুনিনি। উনিই জানালেন, তাঁর সঙ্গে পরিচালক অনুরাগ বসুও আসতে চাইছিলেন। আমি ফিল্ম একেবারেই কম দেখি। অনুরাগ বসুকেও চিনতাম না। গুগল করে অনুরাগের কথা জানতে পারলাম।''        
     
নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আনন্দ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন সঞ্জীব দত্ত। আনন্দ কুমার বলেন, ''ইংরেজি সংবাদপত্রে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন লেখক সঞ্জীব দত্ত। একটি ইংরেজি সংবাদপত্রের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার সাক্ষাত্কার চেয়েছিলেন উনি। এরপর অনুরাগকে সঙ্গে নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। ওঁরা আমার জীবন নিয়ে ছবি করতে উত্সাহী ছিলেন। এরপর বরফি ও জগ্গা জাসুস ছবির পরিচালনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনুরাগ বসু। তবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন সঞ্জীব দত্ত। অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছিলেন।''  

রূপোলি পর্দায় আনন্দ কুমার  হয়েছেন হৃতিক রোশন। এই ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য পরিশ্রমও করেছেন তিনি। আনন্দ কুমারের কথায়, এই ছবিতে অনেক বড় বড় অভিনেতা কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন। পরিচালক আমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন, আমি কাকে চাই? আমি বলেছিলাম, যে অভিনেতার মধ্যে দৃঢ়তা রয়েছে, আমার তাঁকেই চাই। হৃতিকের মধ্যে সেই দৃঢ়তা আমি দেখেছি। আমার মতো নিজেকে বানিয়েছেন হৃতিক। শিখেছেন হিন্দিতে বিহারি টানও এনেছেন। প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন হৃতিক। 

নিজের অতীতে ফিরে গিয়েছেন আনন্দ কুমার। তিনি বলেন, ''বাবার মৃত্যুর অনুকম্পায় সরকারি চাকরি পাচ্ছিলাম। তবে পড়াশুনো চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন মা। এরপর পাঁপড় বানানো শুরু করেন মা। আর আমরা দুই ভাই সেই পাঁপড় বিক্রি করতাম। এভাবেই সংসার চলত। পরে ছোটদের পড়াতে শুরু করি। এভাবেই ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে লাগলাম।'' তাঁর নামডাক ভারতজোড়া। তা নির্বাচনে দাঁড়াবেন নাকি? আনন্দ কুমারের সপাট জবাব, ''সমাজের ভাল করতে গেলে রাজনীতি আবশ্যিক নয়। নিজের ক্ষমতায় সমাজকে আরও ভাল করে তুলব। রাজনীতিতে গেলে কলঙ্কিত হয়ে যাব। তাই রাজনীতিতে যোগদানের মনোবাঞ্চা নেই।'' 

আরও পড়ুন- ফটোশুটের জন্য টপলেস শামা
 

  

 
             
    

.