ভোটের পর ভোট চলে যায়, দিন বদলায় না চা বাগান শ্রমিকদের জীবন
ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু একই রয়ে যায় উত্তরবঙ্গের চা বাগানের শ্রমিকদের জীবন। যেখানে জীবনের প্রতিটা বাঁকে রয়েছে অনাহার আর অপুষ্টি। নেই পানীয় জল। নেই রাস্তাঘাট। নেই চিকিত্সা ব্যবস্থা।
ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু একই রয়ে যায় উত্তরবঙ্গের চা বাগানের শ্রমিকদের জীবন। যেখানে জীবনের প্রতিটা বাঁকে রয়েছে অনাহার আর অপুষ্টি। নেই পানীয় জল। নেই রাস্তাঘাট। নেই চিকিত্সা ব্যবস্থা।
এই অসংখ্য নেইয়ের মাঝে কোনওরকমে দিন কাটছে উত্তরবঙ্গের কয়েক লক্ষ চা শ্রমিকের। উত্তরবঙ্গের বড় চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৩০০টি আর ছোট চা বাগান রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার। উত্তরবঙ্গের অর্থনীতি পুরোপুরি চা শিল্পের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু চা বাগানগুলি থেকে কোটি কোটি টাকা আয় হলেও চা শ্রমিকদের ভাগ্যে তার ছিটেফোঁটাও জোটে না। নুন আনতে পান্তা ফোরায় শ্রমিক পরিবারগুলির। অনাহারে থাকা এখন তাই অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন তাঁরা।
পঞ্চায়েতের সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত তাঁরা। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বিপিএল তালিকা, বিধবা ভাতার মত সরকারি কোনও প্রকল্পই চা শ্রমিকদের কাছে পৌছয় না। পৌছয় শুধু রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি। ভোটের আগে নেতারা নিয়ে আসেন প্রতিশ্রুতির ঝুলি। তারপর ভোট যায়। ফিকে হতে থাকে প্রতিশ্রুতির।
উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং আসনের ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করবে চা বাগানগুলির ওপর।