অ্যাডমিট কার্ডে কুকুরের ছবির জন্য ছাত্রকেই হেনস্থা রাতভর, তবু উত্তর নেই প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে
আইটিআইয়ের প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে উত্তর নেই সরকারের কাছে। তাতে কী? অ্যাডমিট কার্ডে কুকুরের ছবির জন্য সেই ছাত্রকেই দায়ী করলেন বিভাগীয় মন্ত্রী। তদন্তের নামে দিনভর অভিযোগকারী ছাত্রকে হেনস্থা করল
পুলিস। রাতেও তাঁকে রেখে দেওয়া হল গোয়ালতোড় থানায়।
প্রশ্ন উঠছে , তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কীভাবে এক নিরীহ ছাত্রকে কাঠগড়ায় তুলছেন মন্ত্রী?দফতরের আধিকারিক? ড্রাইভার ? নাকি অদৃশ্য কেউ? কে প্রশ্ন ফাঁস করল বুঝতে পারছেন না মন্ত্রী। তবে অ্যাডমিট
কার্ডে নিজের বদলে ওই ছাত্রই কুকুরের ছবি লাগিয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর। সৌম্যদীপ মাহাতর অ্যাডমিট কার্ডে কীভাবে এল কুকুরের ছবি? সোমবার সকাল থেকেই এ নিয়ে তত্পর হয়ে ওঠে পুলিস। তাকে ডেকে
পাঠানো হয় গোয়ালতোড় থানায়। লিখিত উত্তর চাওয়া হয় সৌম্যদীপের থেকে।
এর পরেই জিজ্ঞাসাবাদের নামে দিনভর হেনস্থা করা হয় ওই ছাত্রকে। গোয়ালতোড় থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর শহরের সেই সাইবার কাফেতে, যেখান থেকে সে ফর্ম ফিলাপ করেছিল। এরপর তাকে নিয়ে
মেদিনীপুর আইটিআইতেও যায় পুলিস। এরপর তাকে আরও একপ্রস্থ জেরার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর পুলিস লাইনে। রাত প্রায় সাড়ে নটা পর্যন্ত তাকে বসিয়ে রাখা হয় মেদিনীপুর পুলিস লাইনে। পরে ছেড়ে
দেওয়া হয় তাকে। রাতে ফের তাকে রেখে দেওয়া হয় গোয়ালতোড় থানায়।
আইটিআই প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। প্রশ্ন উঠছে তদন্তের আগেই কী ভাবে মন্ত্রী জানলেন কুকুরের ছবি সৌম্যদীপই দিয়েছিল?কেনই বা তাঁকে দিনভর হেনস্থা করল পুলিস? তদন্ত
শেষ হওয়ার আগেই কী ভাবে মন্ত্রী জানালেন এই ঘটনায় শাসকদলের কেউ জড়িত নয়? প্রশ্ন ফাঁসের অভিমুখ ঘোরাতেই কি নিরীহ এক ছাত্রকে বলির পাঁঠা করতে চাইছেন মন্ত্রী?