ধর্মঘটে ব্যাপক প্রভাব রাজ্যের শিল্পাঞ্চলে

বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে শিল্পাঞ্চলে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে পরিচিত কর্মব্যস্ত ছবি উধাও। রাস্তাঘাট শুনশান। বন্ধ বাস এবং ট্যাক্সি পরিষেবা। ট্রেন চললেও যাত্রী নেই। দোকানপাট বন্ধ। চটকল খোলা থাকলেও, ভারী শিল্পে মাত্র ৫০ শতাংশ কর্মী কাজে যোগ দিয়েছেন।

Updated By: Sep 20, 2012, 11:58 AM IST

বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে শিল্পাঞ্চলে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে পরিচিত কর্মব্যস্ত ছবি উধাও। রাস্তাঘাট শুনশান। বন্ধ বাস এবং ট্যাক্সি পরিষেবা। ট্রেন চললেও যাত্রী নেই। দোকানপাট বন্ধ। চটকল খোলা থাকলেও, ভারী শিল্পে মাত্র ৫০ শতাংশ কর্মী কাজে যোগ দিয়েছেন। বিটি রোড, বরানগর, কামারহাটিতেও ব্যাপক সাড়া পড়েছে ধর্মঘটের। বেশকিছু কারখানায় কোনও শ্রমিকই যোগ দেননি। কিছু কারখানায় উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে হুঁশিয়ারির কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কারখানায় স্থায়ী শ্রমিকেরা হাজির হলেও, অস্থায়ী শ্রমিকদের যোগদানের হার নগণ্য। সবমিলিয়ে ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে। আসানসোল শিল্পাঞ্চলে যানবাহন চলাচল বন্ধ। সকালে জোর করে কিছু মিনিবাস চালানো হয়। কিন্তু যাত্রী না থাকায় পরিষেবা বন্ধ করে দেন বাস মালিকেরা। অধিকাংশ দোকানপাটই খোলেনি। কোলিয়ারিতে সকালের শিফটে কর্মীরা কাজে যোগ দিলেও, ৮ টার ডিউটিতে উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম। সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে কয়লা পরিবহণ। কল্যাণী শিল্পাঞ্চলেও সকালের শিফটে উপস্থিতির হার কম।
হলদিয়া শিল্পাঞ্চচলে পেট্রোকেমিক্যালস, আইওসি, মিটসুবিসি, রেণুকা শিল্পাঞ্চলে উপস্থিতির হার বেশ কম। একই চিত্র হলদিয়া বন্দরেও। কিছু ট্রেন চললেও , যাত্রী প্রায় নেই বললেই চলে। হাওড়া শিল্পাঞ্চলেও ধর্মঘটের ভাল প্রভাব পড়েছে। রাস্তাঘাট শুনশান। বাস, ট্যাক্সি বন্ধ। ট্রেন চললেও যাত্রী নেই। বন্ধ স্কুল কলেজও। তবে চটকল খোলা রয়েছে। সারা রাজ্যের পাশাপাশি স্তব্ধ কলকাতার তারাতলা শিল্পাঞ্চলও। কারখানার গেটে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে সিটু। পিকেটিং করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শ্রমিকরা।
জনজীবন স্তব্ধ শিলিগুড়িতেও। রাস্তায় নামেনি বেসরকারি বাস। হাতে গোণা সরকারি বাস, গটিকয়েক অটো চলাচল করছে। বন্ধ রয়েছে অঝিকাংশ চা বাগান। কাজে আসেননি শ্রমিকরা।

.