রাজ্য জুড়ে মারণজ্বরে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত, অভিযোগ প্রশাসনিক উদাসীনতার

মারণজ্বরে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড চার স্বাস্থ্যকর্তা। বদলি এক স্বাস্থ্য আধিকারিক। তবুও কি হুঁশ ফিরেছে স্বাস্থ্য প্রশাসনের?

Updated By: Aug 5, 2014, 03:34 PM IST
রাজ্য জুড়ে মারণজ্বরে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত, অভিযোগ প্রশাসনিক উদাসীনতার

ব্যুরো রিপোর্ট: মারণজ্বরে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড চার স্বাস্থ্যকর্তা। বদলি এক স্বাস্থ্য আধিকারিক। তবুও কি হুঁশ ফিরেছে স্বাস্থ্য প্রশাসনের?

উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, বিভিন্ন জেলায় দুরবস্থার চিহ্নই প্রকট। বাঁকুড়ায় খিঁচুনি জ্বর থাবা বসালেও পুরসভা, প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ উঠছে। কোচবিহার হাসপাতালে একই বেডে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে রোগীদের।এনসেফ্যালাইটিসের আঁতুরঘরে ক্রমশই ছড়াচ্ছে মারণ জ্বরের সংক্রমণ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রতিদিনই জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বহু রোগী। শনিবার রাতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে খিঁচুনি জ্বরে মৃত্যু হয় তিন বছরের শিশু অয়ন কুচলানের। এরপরেই জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকা থেকে শুয়োর তাড়ানো এবং মশা মারার উদ্যোগ নেওয়ার দাবিতে সরব হন স্থানীয় মানুষ।

আশি ও নব্বইয়ের দশকে বাঁকুড়া জেলায় জাপানি এনসেফ্যালাইটিস কার্যত মহামারির চেহারা নেয়। দুহাজার বারো সালে জেলায় আক্রান্ত হন মোট একশো একত্রিশ জন। মৃত্যু হয় পঁচিশ জনের। দু হাজার তেরো সালে একশো ষাট জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয় ঊনচল্লিশ জনের। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত জেলায় এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা চুয়ান্ন জন। মৃত্যু হয়েছে এগারো জনের।

কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালের চিত্রও তথৈবচ। জ্বর, মাথাব্যথা-সহ এনসেফ্যালাইটিসের একাধিক লক্ষণ নিয়ে প্রতিদিনই আসছেন প্রচুর রোগী। কিন্তু, পর্যাপ্ত বেড নেই। একই বেডে রাখতে হচ্ছে একাধিক রোগীকে। শিশুদের ক্ষেত্রেই একই অবস্থা। উদ্বিগ্ন শিশুদের অভিভাবকরা।

প্রতি জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ বিস্তর। কিন্তু, মুখে কুলুপ এঁটেছে  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বাঁকুড়া এবং কোচবিহার থেকে হীরক মুখোপাধ্যায় এবং সুমনকল্যাণ ভদ্রের রিপোর্ট, চব্বিশ ঘণ্টা।

.