সতেরো দিনে ৮ খুন বারাকপুরে

সতেরো দিনে আটটি খুন। এই পরিসংখ্যান কলকাতা লাগোয়া বারাকপুর কমিশনারেট এলাকায়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে আইনশৃঙ্খলা। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বাসিন্দারা। কমিশনারেট গড়ে কী লাভ হল, উঠছে সে প্রশ্ন। তালিকায় শীর্ষে দমদম থানা। সেই থানার আইসির অপসারণের দাবিও জোরদার হচ্ছে বাসিন্দাদের গলায়।

Updated By: Feb 6, 2013, 10:07 PM IST

সতেরো দিনে আটটি খুন। এই পরিসংখ্যান কলকাতা লাগোয়া বারাকপুর কমিশনারেট এলাকায়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে আইনশৃঙ্খলা। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বাসিন্দারা। কমিশনারেট গড়ে কী লাভ হল, উঠছে সে প্রশ্ন। তালিকায় শীর্ষে দমদম থানা। সেই থানার আইসির অপসারণের দাবিও জোরদার হচ্ছে বাসিন্দাদের গলায়।
দমদম পার্কের শ্যামনগরে ৩২ বছরের যুবক গোরা দাস ওরফে পুপার খুনের ঘটনায় ত্রাসে কাঁপছে গোটা এলাকা। গোরার স্ত্রী এবং ভাইয়ের অভিযোগ, আততায়ীরা স্থানীয় বাসিন্দা। তাদের নাম পুলিসকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিস নীরব দর্শক। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছিলেন বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের এসিপি বিশ্বজিত ঘোষ। অথচ বাস্তবে শ্যামনগরে গোটা পাঁচেক পুলিসর্মীর ঢিলেঢালা টহলদারি ছাড়া পুলিসের তেমন তত্পরতা চোখে পড়েনি। আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের তোপের মুখে দমদম থানার আইসি প্রবীর চ্যাটার্জি। তার অপসারণেরও দাবি উঠছে।
 
জানুয়ারির ১৯ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখের মধ্যে কমিশনারেট এলাকায় খুনের ঘটনাই আটটি। এরমধ্যে শুধুমাত্র দমদম থানা এলাকাতেই ঘটেছে চারটি খুনের ঘটনা।
 
১) ১৯ জানুয়ারি উত্তর চব্বিশ পরগনার হালিশহরে বিয়ের আসরে খুন করা হয় পাত্র শৌভিক দেকে। গুলি চালনায় অভিযুক্ত রাজীব বসু নামে এক যুবককে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যাপক মারধর করা হয় তাকে।
 
২) ২০শে জানুয়ারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় হালিশহরকান্ডের একমাত্র অভিযুক্ত রাজীব বসুর।
 
৩) ২২শে জানুয়ারি হালিশগরে গুলি করে বোমা মেরে প্রকাশ্যে খুন করা হয় ৩২ বছরের এক যুবককে। তার নাম রামজি কাহার।
 
৪) ২২শে জানুয়ারি টিটাগড়ের জে সি রোডে খেলার সময় ২ শিশুর বচসার জেরে রাহুল গিরি
নামে এক শিশুকে গুলি করে খুন করে তারই প্রতিবেশি মহম্মদ আরমান।
 
৫) দমদম স্টেশন লাগোয়া পুকুর থেকে ২৬শে জানুয়ারি উদ্ধার হয় অভিজিত ও কৌশিক নামের ২ যুবকের বিবস্ত্র দেহ। তাদের অন্যত্র খুন করে জলাশয়ে ফেলে যায় আততায়ীরা।
 
৬) দমদমের হরিহর কলোনিতে চৌঠা ফেব্রুয়ারি ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণ করে সমাজবিরোধীরা। শীলা দাস নামে এক প্রৌঢ়া গুরুতর আহত হন। পাঁচ তারিখ তার মৃত্যু হয়।
 
৭) শীলা দাসের মৃত্যুতে যারা জড়িত তারা গোরা দাসের ঘনিষ্ঠ বলে পুলিসের দাবি। সেই মৃত্যুর শোধ তুলতেই পাঁচ তারিখ বাড়িতে ঢুকে গোরা দাস কে খুন করা হয় বলে পুলিস সূত্রে খবর।
 
১৭ দিনে আটটি খুন। কমিশনারেটের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন নাগরিকরা। আরও একটা হত্যাকান্ডের জন্য ত্রাসের প্রহর গুনছে বারাকপুর।
 

.