কাল সিরিয়া নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট, ফের বোমা বর্ষণ শুরু আসাদ প্রশাসনের

কাল সিরিয়া নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা রিপোর্টে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আপাতত সিরিয়ায় সামরিক অভিযান এড়ানো গেছে। তবে, বাসার-অল-আসাদের হাতে থাকা রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার সম্পূর্ণ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে রাজি নয় আমেরিকা ও ইজরায়েল। এ সবের মধ্যেই বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে আসাদ প্রশাসন ফের বোমাবর্ষণ শুরু করেছে বলে খবর।  

Updated By: Sep 15, 2013, 10:01 PM IST

কাল সিরিয়া নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা রিপোর্টে থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আপাতত সিরিয়ায় সামরিক অভিযান এড়ানো গেছে। তবে, বাসার-অল-আসাদের হাতে থাকা রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার সম্পূর্ণ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিন্ত হতে রাজি নয় আমেরিকা ও ইজরায়েল। এ সবের মধ্যেই বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে আসাদ প্রশাসন ফের বোমাবর্ষণ শুরু করেছে বলে খবর।  
২১শে অগাস্ট দামাস্কাসের শহরতলিতে রকেট হামলায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল কি? এ বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তদন্তকারী দলের রিপোর্ট প্রকাশিত হবে সোমবার। রিপোর্টে, বিষাক্ত সারিন গ্যাস ব্যবহারের প্রমাণ মেলার কথা থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে, রাসায়নিক অস্ত্র হামলার দায় কার সে বিষয়ে কিছু বলা হবে না।
যদিও, এই ধরনের হামলার ক্ষমতা যে সিরিয়ায় শুধুমাত্র আসাদের বাহিনীরই আছে, সে কথা বলা হতে পারে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার সমর্পণে রাজি হওয়ায় আপাতত সামরিক অভিযানের রাস্তা থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছে আমেরিকা। এ বিষয়ে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে চুক্তিও হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়া তার রাসায়নিক অস্ত্র সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দেবে।
তারপর দামাস্কাস যাবেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিনিধিরা। ২০১৪-র মধ্যে সব রাসায়নিক অস্ত্র সিরিয়া থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বা ধ্বংস করে ফেলা হবে। আমেরিকা-রাশিয়ার এই মধ্যস্থতায় বিদ্রোহীরা অখুশি হলেও স্বাগত জানিয়েছে আসাদ প্রশাসন। কিন্তু, বাস্তবে যদি সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র সমর্পণে গড়িমসি করে তাহলে কি হবে? মস্কো-ওয়াশিংটন চুক্তি বলছে, সে ক্ষেত্রে সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পক্ষে রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রস্তাব আনা যাবে। কিন্তু, তখন যদি ফের ভেটো দেয় রাশিয়া ? বা, আসাদের পদক্ষেপে খুশি না হয়ে ফের যুদ্ধের হুঙ্কার দেন ওবামা? উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না কোনও আশঙ্কাই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তো বলেই দিয়েছেন, কূটনীতি সাফল্য না পেলে সামরিক অভিযানই একমাত্র রাস্তা। জেনিভায় রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক সেরে রবিবারই ইজরায়েলে গেছেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও সিরিয়া সরকারের ভবিষ্যত পদক্ষেপ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। ফলে, আপাতত যুদ্ধ এড়ানো গেলেও পশ্চিম এশিয়ার উত্তপ্ত পরিবেশ এখনইঠাণ্ডা হচ্ছে না।
এ সবের মধ্যেই সিরিয়ায় নতুন করে বোমাবর্ষণ শুরু করেছে আসাদ প্রশাসন। রবিবার, দামাস্কাসের কাছে বারজেহে বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয় বলে খবর। বিভিন্ন এলাকায় আসাদ বাহিনীর সঙ্গে ফের বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
 
      

.