ব্রিটেনের মসনদে ভারতীয় সুনক? প্রাথমিক ভোটে পিছনে ফেললেন মর্ডান্ট এবং ট্রাসকে
যে জিতবেন তাকে একটি কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। জনসনকে জড়িয়ে একাধিক কেলেঙ্কারির পরে জনসাধারণের বিশ্বাস পুনঃনির্মাণ করতে হবে। কোভিড-১৯ লকডাউন নিয়ম ভঙ্গ করা থেকে শুরু করে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত একজনকে সরকারে নিয়োগ করা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় জনসাধারণের বিশ্বাস হারিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কনজাভেটিভ পার্টির নেতা এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার পদ্ধতি শুরু করে দিল কনজারভেটিভ পার্টি। প্রথম এলিমিনেশনে সবথেকে বেশি এমপিদের সমর্থন পেলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। বুধবার আরও দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বাদ পড়েন এই দৌড় থেকে।
সুনকের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ গত সপ্তাহে জনসনের পতনকে ত্বরান্বিত করে। দলের ৩৫৮ জন সাংসদের (এমপি) মধ্যে ৮৮ জনের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। জুনিয়র বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট ৬৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় এবং বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রাস তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৫০ ভোট পেয়ে।
নাদিম জাহাউই, যিনি গত সপ্তাহে সুনকের হাত থেকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী জেরেমি হান্ট প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ৩০ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়ে ছিটকে গেছেন দৌড় থেকে।
বাকিরা প্রতিযোগী অর্থাৎ প্রাক্তন সমতা মন্ত্রী কেমি ব্যাডেনোচ, অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান, পার্লামেন্টের বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ার টম তুগেনধাত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবেন।
প্রতিবার সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থীকে বাদ দিয়ে ভোট হতে থাকবে। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা চূড়ান্ত দুইজনের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এরপরে ২০০,০০০ কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা নতুন নেতা নির্বাচন করবেন। এরপরে ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে কে হবেন পরবর্তী নেতা।
যদিও সুনক তার সহকর্মীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিযোগী কিন্তু প্রায় ৯০০ জন দলীয় সদস্যের মধ্যে করা একটি সার্ভেতে দেখা গিয়েছে যে তাদের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন মর্ডান্ট।
আরও পড়ুন: Sri Lanka Crisis: ফেরত পাঠান গোটাবায়াকে, মলদ্বীপ প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে তুমুল বিক্ষোভ জনতার
যে জিতবেন তাকে একটি কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। জনসনকে জড়িয়ে একাধিক কেলেঙ্কারির পরে জনসাধারণের বিশ্বাস পুনঃনির্মাণ করতে হবে। কোভিড-১৯ লকডাউন নিয়ম ভঙ্গ করা থেকে শুরু করে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত একজনকে সরকারে নিয়োগ করা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় জনসাধারণের বিশ্বাস হারিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি।
ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি এবং ঋণ কিন্তু কমছে বৃদ্ধি। এর ফলে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবথেকে বেশি আর্থিক চাপের মুখে রয়েছেন মানুষ। ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে জ্বালানি সংকটের ফলে জ্বালানির দাম বেড়েছে।